শিখ নিধন মামলায় সাজা হতেই কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ সজ্জন কুমারের
সজ্জন কুমার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাদের তরফে এই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসূত্র টেনে এনে আক্রমণ করা হয়। ফলে কংগ্রেস শিবিরে অস্বস্তি বাড়ছিল। এদিন দলকে সেই অস্বস্তি থেকে কার্যত মুক্তি দিলেন সজ্জন কুমার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিখ নিধন মামলায় দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমার কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন। সোমবার তাঁকে দিল্লি হাইকোর্ট দোষী সাব্যস্ত করে। যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত। তার পর মঙ্গলবার সজ্জন কুমার জানিয়ে দিলেন তিনি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিচ্ছেন।
তিনি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে সেকথা জানিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন যে দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন।
আরও পড়ুন: জোর ধাক্কা কংগ্রেস শিবিরে, শিখ বিরোধী হিংসায় যাবজ্জীবন সজ্জন কুমারের
মঙ্গলবার সকালে সজ্জন কুমার গিয়েছিলেন দিল্লির কনটপ্লেসের হনুমান মন্দিরে। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি এই সাজা ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে আর কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।
ট্রায়াল কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন কংগ্রেসের এই নেতা। কিন্তু সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট সেই রায়কে খারিজ করে দেয়। বদলে সজ্জন কুমার ও আরও পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয় আদালত। ১৯৮৪ সালের ওই শিখদের বিরুদ্ধে হওয়া ওই হিংসাকে আদালত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলেও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: 'জানেন একজন বিধায়কের কত ক্ষমতা,' প্রকাশ্যে মহকুমাশাসককে হুমকি বিজেপি নেতার
প্রসঙ্গত, সজ্জন কুমার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাদের তরফে এই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসূত্র টেনে এনে আক্রমণ করা হয়। ফলে কংগ্রেস শিবিরে অস্বস্তি বাড়ছিল। এদিন দলকে সেই অস্বস্তি থেকে কার্যত মুক্তি দিলেন সজ্জন কুমার।