নিজস্ব প্রতিবেদন : কাশ্মীর ইস্যুতে এবার চরম অমানবিক অবস্থান নিল পাকিস্তান। ট্রেন নিয়ে ভারতে ঢুকতে অস্বীকার করলেন পাক চালক। মাঝপথেই থামিয়ে দিলেন ট্রেন। ১১০ জন যাত্রীকে নিয়ে যারফলে ওয়াঘা সীমান্তে দীর্ঘক্ষণ আটকে রইল ট্রেন। শেষে ভারত থেকে চালক ও ইঞ্জিন পাঠিয়ে ফিরিয়ে আনা হন সমঝোতা এক্সপ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের উস্কানি অব্যাহত। আজ দুপুরে সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধের কথা ঘোষণা করে ইসলামাবাদ। আর এই ঘোষণার পরই মাঝপথেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় সমঝোতা এক্সপ্রসকে। লাহোর থেকে ১১০ জন যাত্রীকে নিয়ে আজ দুপুরে ওয়াঘা পৌঁছয় সমঝোতা এক্সপ্রেস। কিন্তু, তারপর ভারতে ঢুকতে অস্বীকার করেন পাক চালক। ওয়াঘাতেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে ট্রেনটি।


পাকিস্তানের তরফে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া নয়াদিল্লিকে। প্রায় ঘণ্টা তিনেক ওয়াঘাতে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। শেষ পর্যন্ত  ভারত থেকে চালক ও ইঞ্জিন পাঠানো হয়। তাপরই সমঝোতা এক্সপ্রেস আটারি সীমান্তে এসে পৌঁছয়। পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত সমঝোতা এক্সপ্রেস বাতিল। তিনি যতদিন রেলমন্ত্রী আছেন, সমঝোতা এক্সপ্রেস চলার আর কোনও প্রশ্ন নেই।



প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপ ও কাশ্মীর রাজ্যকে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাক সরকার। আর তারপরই থেকেই শুরু হয় একের পর এক উস্কানি দেওয়ার পালা। প্রথমে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপরই পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেয় ইসলামাবাদ। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করা, পাকিস্তানের আকাশপথ আংশিক বন্ধের কথাও ঘোষণা করে পাকিস্তান।


আরও পড়ুন, ‘ভগবান করুক, এমন প্রতিবেশী কারও যেন না হয়’ পাকিস্তানকে কটাক্ষ রাজনাথের


অন্যদিকে আজ এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক থেকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কাশ্মীর সমস্যা সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আজ এক বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, গতকাল পাকিস্তান যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দুঃখজনক বিষয়। দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলার রাখার জন্য আরও একবার তাদের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।