জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার কেন্দ্র সমুদ্রস্থল। পৃথিবীর উপরিতলের প্রায় ৭০ শতাংশই সমুদ্র। যদিও গভীর সমুদ্রের ৯৫ শতাংশই এখনও মানুষের অজানা। আশ্চর্যের যে, ভারতে ৭৫১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূল রয়েছে! এমন একটি দেশ যখন সমুদ্র নিয়ে নতুন করে ভাবে বা সমুদ্র অভিযানের পরিকল্পনা করে, তখন সেটা ভিন্ন তাৎপর্য পায়। মহাকাশযানের মারফত চন্দ্রাভিযান, মঙ্গল অভিযান আগে আগে সফল ভাবেই সম্পাদিত হয়েছে এদেশে। কিন্তু এখানেই থেমে যাওয়া নয়। এবার সমুদ্র অভিযান। অসীম মহাকাশের পরে এবার অতল মহাসমুদ্র। প্রকৃতির অন্যতম এই জল-রহস্য ভেদ করতে এবার নতুনতর অভিযানে নামল ভারত। এবার ভারতের লক্ষ্য, সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাবমেরিনের মতো একটি যানে করে এই অভিযান হবে। অভিযানটির নাম রাখা হয়েছে 'মৎস্য় ৬০০০'। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও চিন এই ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান করেছে। আগামী দিনে সফল হতে পারলে এবার ভারতও ঢুকে পড়বে সেই তালিকায়। এই ধরনের অভিযান প্রযুক্তিগত দিক থেকে তো জরুরি বটেই, অর্থনীতির দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা । বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন জন মানুষ নিয়ে সমুদ্রের গভীরে যাবে এই 'মৎস্য় ৬০০০'। যানটিতে থাকবে অতি আধুনিক প্রযুক্তির সেন্সর ও যন্ত্রপাতি। থাকবে সমুদ্রতলে খননকার্য চালানোর ব্যবস্থাও। সমুদ্রের গভীরে জলের চাপ বেশি। সেই চাপ সামলানোও রীতিমতো একটা চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তিবিদদের কাছে। সেই চ্যালেঞ্জ সফল ভাবে সামলাতে হবে। ১২ ঘণ্টা জলের তলায় থাকতে পারবে যানটি। তবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত জলের নীচে থাকতে পারবে যানটি।


আরও পড়ুন: ISRO: ৭৫০ জন স্কুলছাত্রীর তৈরি ক্ষুদ্রতম রকেট উড়ল আকাশে


কেন্দ্রের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে ইসরো, আইআইটি মাদ্রাজ এবং ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা হাত মিলিয়ে তৈরি করেছেন 'মৎস্য় ৬০০০'-এর নকশা। ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে এই ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান চালানোর জন্য মোট বহ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। ২০২৪ সাল পর্যন্ত গবেষণার প্রথম ধাপের জন্যও বরাদ্দ হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)