Sanjay Raut: জামিনের আবেদনই করলেন না সঞ্জয় রাউত, ১৪ দিন জেল হেফাজতে শিবসেনা নেতা
আবাসন কেলেঙ্কারি মামলায় গত ৩১ জুলাই সঞ্জয় রাউতকে আটক করে ইডি। পরদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তাঁকে তোলা হলে তাঁকে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তা বাড়িয়ে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, ওই আবাসন কেলেঙ্কারিতে তিনি পেয়েছেন ১.১৭ কোটি টাকা
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোরেগাঁওয়ের পাত্র চাওল আবাসন কেলেঙ্কিতে গ্রেফতার শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। ওই কেলেঙ্কারিতে সঞ্জয় কয়েক কোটি টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েক দিন আগেই তাকে গ্রেফতার করে ইডি। সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি জেলে তাঁকে তাঁর প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন তিনি বলেন, ১০৩৪ কোটি টাকার ওই কেলেঙ্কারিতে তাঁকে আর ইডি হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তাই তিনি আগামী ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই থাকবেন। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল সঞ্জয় রাউতের আইনজীবীরা জানিয়েছেন তারা আপাতত শিবসেনা নেতার জামিনের আবেদন করছেন না।
আরও পড়ুন-খোলা আকাশের নিচেই কেষ্ট, রক্ষাকবচ দিল না এসএসকেএম
উল্লেখ্য, আবাসন কেলেঙ্কারি মামলায় গত ৩১ জুলাই সঞ্জয় রাউতকে আটক করে ইডি। পরদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তাঁকে তোলা হলে তাঁকে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তা বাড়িয়ে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, ওই আবাসন কেলেঙ্কারিতে তিনি পেয়েছেন ১.১৭ কোটি টাকা। ইডির দাবি রায়গড়ের আলিবাগে রাউত যে জমি কিনেছেন তাতে বিপুল টাকা খরচ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছে ১.০৮ কোটি টাকা।
গত ৩১ জুলাই সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাত্র চাওল আবাসন কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিকবার তাঁকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি যাননি। শেষপর্যন্ত তাঁকে আটক করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেইসময় তিনি দাবি করেন সবটাই ষড়যন্ত্র, মহারাষ্ট্র ও শিবসেনাকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। এই লড়াই চলবে। সঞ্জয় রাউত ঝুকেগা নেহি।
এদিকে, গত ৫ অগাস্ট সঞ্জয় রাউত আদালতে অভিযোগ করেন তাঁকে যে ঘরে রাখা হয়েছে সেখানে কোনও জানালা নেই, আলো-বাতাস খেলে না। ঘরে এসি থাকলেও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তিনি এসি চালাতে পারেন না। সঞ্জয়ের ওই বক্তব্যের পর তাঁকে একটি আলো-বাতাস পূর্ণ ঘরে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
পাত্র চাওল আবাসন কেলেঙ্কারি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তত্পর ছিল ইডি। মহরাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার পড়ে যাওয়ার পর শিবসেনার আশঙ্কা ছিল তাদের উপরে কোনও ঝড় আসতে পারে। শেষপর্যন্ত গত ৩১ জুলাই সঞ্জয়কে আটক করে ইডি। পরে তাকে ১০ ঘণ্টা টানা জেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। সঞ্জয়ের আগে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের মন্ত্রী অনিল দেশমুখ ও নবাব মালিককে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্ত সংস্থা।