নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোট যত এগোচ্ছে ততই জমজমাট হয়ে উঠছে বিহারের রাজনীতি। আসন বণ্টন নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই বৃহস্পতিবারে সেরাজ্যে রাজনীতির উত্তাপ নতুন করে চড়ল রাজনীতির পারদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার দাবি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান নীতীশ কুমার। তবে কোনও চাপের মুখে নয়, স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে যেতে চান তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার কুশওয়াহা বলেন, নীতীশ কুমারকে আমার থেকে ভাল কেউ চেনে না। তাঁর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় নীতীশ জানিয়েছেন, '১৫ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছি। আর ভাল লাগছে না। এবার বিশ্রাম নিতে চাই।' কুশওয়াহা বলেন, 'কোনও চাপে পড়ে নয়, ক্ষমতার সম্পৃক্ততা থেকেই ইস্তফা দিতে চান নীতীশ কুমার।'



কুশওয়াহার এহেন বক্তব্যে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি নীতীশের দল জেডিইউ। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুসারে জেডিইউ ও কুশওয়াহার দল আরএলএসপি ইউপিএর শরিক হলেও দু'দলের সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের জন্য আসন সমঝোতা করেছে জেডিইউ ও বিজেপি। তাতে দুদলই সমান সংখ্যক আসনে লড়বে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে কোপ পড়েছে এলজেপি, আরএলএসপি-র মতো রাজনৈতিক দলের ওপর। 


সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ করেছিলেন সর্দার প্যাটেল, সেই বল্লভভাইয়ের বন্দনায় মোদী! কেন?


বিজেপি - জেডিইউ আসন সমঝোতার পরই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেন কুশওয়াহা। বিহার থেকে ইউপিএ-র আরও এক শরিক রামবিলাস পাসওয়ানের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। কুশওয়াহা ও রামবিলাসের অভিযোগ, নীতীশ - অমিতের আসন ভাগাভাগির ফরমুলায় বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে নীতীশের ওপর চাপ বাড়াতে কুশওয়াহা ইস্তফার জল্পনা ছড়ালেন কি না তা নিয়ে ভাবতে বসেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।