বাংলার রাজনীতির ময়দানে এবার শিব সেনা, `জয় বাংলা` লিখে হুঙ্কার সঞ্জয় রাউতের
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে কিছুদিনের মধ্যে বাংলা সফরে আসতে পারেন বলেও খবর।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলার রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তৃণমূলকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলে এবার যেন কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বারবার বাংলা সফর যেন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তবে পায়ের তলার মাটি আলগা হওয়ার আগেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূলও। বাংলার রাজনৈতিক ক্ষমতা শেষমেশ কোন দিকে যাবে, এই রাজ্যের রাজনীতির ময়দানের দিকে তাকিয়ে এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোটা দেশ। তবে এসবের মাঝেই এল বড় খবর। বাম-কংগ্রেস-তূণমূল-বিজেপির মাঝে এবার এসে পড়বে শিব সেনা।
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এদিন টুইট করে জানালেন, আর দেরি নেই। এবার বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় লড়বে উদ্ভব ঠাকরের দল। এদিন সঞ্জয় রাউত টুইটে লেখেন, আপনাদের জন্য বহু প্রতীক্ষিত আপডেট। পার্টি সচিব উদ্ভব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পর শিব সেনা এবার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা শীঘ্রই কলকাতায় আসছি। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।
আরও পড়ুন- ইডি-হেফাজতে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন কে ডি
জানা যাচ্ছে, ১০০ সিটে প্রার্থী দিতে পারে শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে কিছুদিনের মধ্যে বাংলা সফরে আসতে পারেন বলেও খবর। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও শিবসেনা বাংলায় ১৫ সিটে প্রার্থী দিয়েছিল। সেই সময় শিব সেনা ছিল এনডিএ-র অংশ। তবে সেবার বাংলায় ভোটের লড়াইয়ে নেমে সফল হয়নি শিব সেনা।
শিবসেনা একা নয়, বাংলার ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারের JDU-ও। একুশের বিধানসভা ভোটে ৭০-৭৫টি আসনে প্রার্থী দিতে চায় নীতীশ কুমারের দলও। সূত্রের খবর, ভোটে লড়ার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলায় দলের কর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে খোদ নীতীশ কুমারের তরফে। JDU সূত্রের খবর, ২০০৬ সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হয়েছিল তাদের। ২০১১ সালে রাজ্য়ে এককভাবে ৭১টি আসনে, এমনকী গতবার অর্থাৎ ২০১৬ সালের কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে ২টি আসনে লড়েছিল বিহারের দলটি।