`আমরাও শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের ক্ষমতারও সীমাবদ্ধতা আছে,` দিল্লি হিংসা মামলায় মত প্রধান বিচারপতি বোবডের
`বুধবার আমরা এটা শুনব। দেখা যাক, আমরা কী করতে পারি।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লিতে হিংসা (Delhi Violence) ছড়ানোর পিছনে দায়ি বিজেপি (BJP) নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য। এই অভিযোগে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় শুনানি শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, "শীর্ষ আদালতও শান্তি চায়, তবে তারও ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে।" উল্লেখ্য, দিল্লির অশান্তিতে দুর্গতদের কয়েকজন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
প্রসঙ্গত, দিল্লি হিংসায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। CAA বিরোধী আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। প্ররোচনামূলক মন্তব্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস মুরলীধরন। তবে তারপরই তিনি বদলি হয়ে যান পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিচারপতি বদল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় দিল্লি হাইকোর্টের রায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ও তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের জন্য ১ মাস সময় দেওয়া হয় দিল্লি পুলিসকে।
আরও পড়ুন, ফাঁসির ২৪ ঘণ্টা আগে পবনের রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারীদের কয়েকজন। "দিনে প্রায় ১০ জন করে মানুষ খুন হচ্ছেন। এই মামলা শোনা খুবই জরুরি।" এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন মিস্টার গোনস্লেভস নামে এক মামলাকারী। সেই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে মামলাকারীর কাছে জানতে চান, কেন দিল্লি হাইকোর্ট ১ মাস সময় দিল? শুনানি পিছিয়ে দিল? এরপরই প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "কোনও রায় ছাড়া আমরাই বা কী করতে পারি? আমরাও শান্তি চাই। কিন্তু আমাদের ক্ষমতারও সীমাবদ্ধতা আছে। কিছু প্রত্যাশা আছে, যেটা আমরা করতে পারব না। বুধবার আমরা এটা শুনব। দেখা যাক, আমরা কী করতে পারি।"