ওয়েব ডেস্ক : নির্ভয়া কাণ্ডে নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। চার অভিযুক্তেরই ফাঁসির সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট। রায় ঘোষণা করে বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি আর ভানুমতি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এবং অপরাধের ভয়াবহতাকে বিচার করেই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ভানুমতী বলেন, "যদি কোনও মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিতেই হয়, তবে এটাই সেটা। মানুষের লালসা এখানে শয়তানের রূপ ধরেছিল। এই ঘটনা মানবিকতার কাছে 'সুনামি অফ শক'। মানবিকতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছিল।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর রাস্তায় চলন্ত বাসের মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নৃশংস এই ঘটনার বীভত্সতায় আঁতকে ওঠে গোটা দেশ। ১৩ দিন যমে-মানুষে টানাটানির পর জীবনের কাছে হার স্বীকার করে নেয় নির্ভয়া। সারা দেশ প্রতিবাদে মুখর হয়। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।


২০১৪-র ১৩ মার্চ মুকেশ, পবন, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় কুমার সিংকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লি হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় চার অভিযুক্তই। অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দাবি, প্রত্যেকের পৃথক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই রায় দিয়েছে নিম্ন আদালত। চারজনেরই মৃত্যুদণ্ড রোধ করার পক্ষে সওয়াল করেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, প্রত্যেকেই দরিদ্র পরিবারের এবং প্রত্যেকেরই কম বয়স।


যদিও পুলিসের পক্ষ থেকে বারবারই সওয়াল করা হয়, এ ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম। বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে এবং রাজু রামচন্দ্রনকে আদালতের বন্ধু হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তবে তাঁরা অবশ্য আদালতে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষেই থাকেন। শেষপর্যন্ত অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দাবি খারিজ করে দিয়ে, নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।