গোপন ব্যালটে ভোটের সম্ভাবনায় অশনিসংকেত কারাট শিবিরের
খানে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়ায় না গেলেও রাজনৈতিক সমঝোতা এবং একসঙ্গে লড়াইয়ের রাস্তা খুলে রাখার কথা বলা হয়েছে করা হয়েছে সীতারামের বিকল্প দলিলে।
জ্যোতির্ময় কর্মকার
পার্টি কংগ্রেসের দ্বিতীয় দিনে প্রকাশ কারাটের সঙ্গে দ্বৈরথে পাল্লাভারী সীতারাম ইয়েচুরির। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির যুক্তিতে সাড়া দিয়েছে একের পর এক রাজ্য। আর তাদের গোপন ব্যালটে ভোটের দাবিতে অশনিসংকেত দেখছে কারাট শিবির।
বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরু হতেই মহারাষ্ট্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়, গোপন ব্যালটে ভোট হোক। দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হতেই বিহার, গুজরাট, পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্য গোপন ব্যালটের দাবি তুলেছে। গোপন ব্যালটে ভোট হলে খুলে যাবে ক্রস ভোটিংয়ের রাস্তা। এতদিন কেন্দ্রীয় কমিটিকে হাতের তালুর মতো কারাট 'নিয়ন্ত্রণ' করে এসেছেন, এবার তা এবার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রকাশ কারাট।
এদিন পার্টি কংগ্রেসের শুরুতে অবশ্য ইয়েচুরির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন কারাট। বেনজিরভাবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদককে রাজনৈতিক দলিল পেশ করতে দেননি প্রাক্তন। বিকল্প দলিল পেশ করেন সীতারাম ইয়েচুরি। যেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়ায় না গেলেও রাজনৈতিক সমঝোতা এবং একসঙ্গে লড়াইয়ের রাস্তা খুলে রাখার কথা বলা হয়েছে করা হয়েছে। সীতারামের কৌশলী চালেই ক্রমশ ঘুরতে থাকে পার্টি কংগ্রেসের 'অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের' হাওয়া।
সীতারাম সওয়াল করেন, কংগ্রেসের কথা বাদ দিলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সম্পর্কে পার্টির অবস্থান কী হবে, তা পার্টি কংগ্রেসের স্পষ্ট হওয়া উচিত। যেখানে বামেদের প্রার্থী নেই, সেখানে বিজেপিকে হারাতে পার্টি কমরেড ও সমর্থকরা কাকে ভোট দেবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা পার্টি কংগ্রেস থেকে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কর্ণাটক নির্বাচনের উদাহরণ টেনে সীতারাম বলেন, ''যেখানে বাম প্রার্থী নেই। সেখানে আমাদের পার্টির সদস্যরা তাঁদের এলাকায় কাকে ভোট দেবেন, তা বুঝতে পারছেন না। সীতারামের এই যুক্তিতেই বাজিমাত হয়ে গিয়েছে বলে মত অনেকের।
পঞ্জাব, গুজরাট, বিহার, মহারাষ্ট্র-সহ বিস্তীর্ণ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় যেখানে 'লাল নিশান' নেই, সেই সব রাজ্যে নির্বাচনের সময় বরাবরই পার্টির কমরেডরা দিশেহারা থাকেন। ফলে সীতারামের রাজনৈতিক দলিলকে যুক্তিগ্রাহ্য বলে মানতে শুরু করেছেন অনেকেই। এর ফলে গোপন ব্যালটের দাবি উঠে আসছে বলে মনে করছেন। উল্লেখ্য, সিপিএমের অন্দরে হাত তুলে সমর্থন বা বিরোধিতার রেওয়াজ রয়েছে।সিপিএমের পলিটব্যুরোর বৈঠরে গোপন বৈঠকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।