নিজস্ব প্রতিবেদন:  পুনরায় খুলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না শেয়ার বাজার। ফের মুখ থুবড়ে পড়ল। সেনসেক্সের পতন হল ৩৬০০ পয়েন্ট। হাজার পয়েন্টের বেশি পড়েছে নিফটি। ব্যাঙ্ক সেক্টরের প্রায় সব ব্যাঙ্কের শেয়ার দর পড়েছে উল্লেখজনক ভাবে। এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্চের ১৬৬২টি শেয়ার দর নিম্নগামী। এ বাজারেও মুখ তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৯৪ শেয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকালে বাজার খুলেই ১০ শতাংশ পতন হয় সেনসেক্স সূচকের। নিফটি এবং সেনসেক্স দুই সূচকের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। চলতি মাসের শুরুতেই ১০ শতাংশ মতো শেয়ার সূচক পড়ে মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পরে খোলার পরই মাথা তুলে দাঁড়ায় শেয়ার বাজার। কিন্তু এ দিন আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হল না।


আরও পড়ুন- নিয়ম ভাঙলেই আইনি ব্যবস্থা, লকডাউন নিয়ে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ মোদীর


রবিবার, দেশের প্রায় ৮০টা শহর লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের পরিবহন, অফিস, কারখানা কার্যত বন্ধ। করোনার কবল থেকে বেরনোর এখনও পর্যন্ত কোনও দিশা নেই। যার জেরে আতঙ্কে লগ্নিকারিরাও বিমুখ হচ্ছে।


এশিয়া, ইউরোপ, দুই আমেরিকার দেশগুলির শেয়ার সূচকেরও বেহাল দশা। এশিয়া বাজারে জাপানের নিকি (১.৭৮+) ছাড়া বাকি সব সূচকের নজিরবিহীন ধস নেমেছে। সিঙ্গাপুরের সূচক স্ট্রেটস টাইমস সূচকের ব্যাপক পতন হয়। হ্যাংসেং, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি সূচকও অধোগামী।


বহুজাতিক ভারতীয় সংস্থা ভারত ফোর্জ ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাদের গোটা ইউনিট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সংস্থা অটো মোবাইল, গ্যাস, তেল, খনি থেকে মহকাশ গবেষণার সামগ্রী তৈরি করে থাকে। এ দিন ভারত ফোর্জের শেয়ার দর পড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ।


সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এশিয়ান পেইন্টসও উত্পাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানায়, কেন্দ্রের নির্দেশ মতো অফিস, উত্পাদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশের প্রায় সব তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার জনতা কার্ফু জারির পর গোটা দেশের ৮০টা শহরকে লকডাউন করে দেওয়ায় শিল্পাঞ্চল শহরগুলিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।