ওয়েব ডেস্ক: ''মানুষ, মানুষেরই জন্য। জীবন জীবনেরই জন্যে..'' গানের প্রত্যেকটি লাইনই ভালো। কিন্তু এক্ষেত্রে দরকার এইটুকুই। জীবন। মানেই তো জল। অথবা উল্টোটা। জলই জীবন। চেন্নাই, তামিলনাড়ুতে ক'দিন ধরে সমানে বৃষ্টি। কত মানুষ মারা গিয়েছেন এই বন্যায়। ১০০ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হলে, তো এমন হবেই।
প্রাথমিক ধাক্কা কেটে গিয়েছে। বিপজ্জনক জল নামা শুরু হয়েছে। কিন্তু এবার যে সমস্যা অন্য। আবার জল। শুধু এই জল, পানীয় জল। বানভাসি চেন্নাইয়ে যে এখন বিশুদ্ধ পানীয় জলের বড্ড অভাব। বন্যায় না হয়, বেঁচে থাকা গিয়েছে। কিন্তু এবার বিশুদ্ধ জল না পাওয়া গেলে তো বাড়বে রোগের প্রকোপ। তাহলে উপায়?
 
চেন্নাইয়েরই সমাজপ্রেমী আর ভারানেশ্বরন এবং সেন্ধিল থিয়াগারাজন দুজনে ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ের বন্যা কবলিতদের জন্য ৫০০ লিভিংগার্ড দিয়েছে। কী সেটা? এটা পানীয় জলকে বিশুদ্ধ (ফিল্টার) করে। এর প্রতিটি ফিল্টার প্রতিদিনে ১০০ থেকে ১২০ লিটার বন্যা কবলিত জলকেও পানীয় জলে পরিণত করতে পারে! অর্থাত্‍ ৫০ থেকে ৬০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া যাবে রোজ। তার মানে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ছাড়া জল খেতে পারবে! আর সেটা করতে দরকার হবে না কোনও বিদ্যুত্‍। কী বলবেন, কতটা উপকার হল, চেন্নাইয়ের বন্যার কবেল পড়া ওই মানুষগুলোর?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লিভিংগার্ড প্রযুক্তি মুম্বইয়ের একটি কোম্পানি। এরা ওয়াটার পিউরিফিকেশন সলিউশন মানুষকে দেয়। খুব দূষিত জলও বিদ্যুত্‍ ছাড়া প্রতি লিটার এক পয়সারও কম খরচে বিশুদ্ধ পানীয় জলে পরিণত করা যায় এই প্রযুক্তিতে।এবার লিভিংগার্ড আর গাড়ি কোম্পানি মাহিন্দ্রা এক হয়েছে। তারা নতুন এক সার্ভিস মানুষকে দিতে চলেছে। এই দুই কোম্পানি যৌথ প্রচেষ্টায় বানিয়েছে 'ড্রিঙ্কিং ওয়াটার ব্রিগেড'। এই গাড়ি যেকোনও বন্যাকবলিত জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে অবলীলায়। আর মাত্র ১ ঘন্টায় ১০০০ লিটার জলকে বিশুদ্ধ পানীয় জলে পরিণত করতে পারে। শুধু তাই নয়, এই গাড়িতে করে ৩০০ লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জল বয়েও নিয়ে যেতে পারে!  


এখন লিভিংগার্ড তামিলনাড়ু সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে, যাতে তাদের তামিলনাড়ুর অন্যান্য বন্যা কবলিত অঞ্চলে 'ড্রিঙ্কিং ওয়াটার ব্রিগেড' গাড়িকে ঢুকতে দেওয়া হয়। এতে সত্যিই অনেক মানুষের উপকার হবে। পানীয় জলের সাহায্যে বাঁচবে অনেক জীবন।