নিজস্ব প্রতিবেদন: আম আদমি পার্টিকে জোর ধাক্কা দিল নির্বাচন কমিশন। স্বার্থের সংঘাতের দায়ে কেজরিওয়ালের দলের ২০ জন জনপ্রতিনিধির বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ দিল নির্বাচন কমিশন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এ বিষয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানান হয়েছে, বিষয়টি বিচারাধীন। রাষ্ট্রপতির কাছে কী সুপারিশ পাঠানো হয়েছে, তা প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়।



নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে যাচ্ছে আপ। আপ নেতা আশুতোষের বক্তব্য, ''নির্বাচন কমিশন এতটা নিন্মস্তরে কোনওদিন নামেনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পত্রবাহকে পরিণত হয়েছে তারা।''


 





 


আপের 'সাংবিধানিক বিপর্যয়ে'র মুখে কেজরিওয়ালকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্রের কথায়, ''স্বপ্ল সময়েই দুর্নীতি বিরোধী ভারত থেকে আমিই দুর্নীতি দলে পরিণত হয়েছে আম আদমি পার্টি। সরকারে থাকার নৈতিকতা নেই ওদের।'' একইসুরে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেসের অজয় মাকেন। তিনি বলেন, কেজরিওয়ালের পদে থাকার কোনও নৈতিকতা নেই। আপের বিরুদ্ধে জন আন্দোলন শুরু করবে কংগ্রেস।     




আরও পড়ুন- বাজেটে ৫ লক্ষের 'মোদীকেয়ার' ঘোষণা করবেন জেটলি?


আপ বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন জনৈক আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেল। তিনি দাবি করেছিলেন, সংসদীয় সচিবের পদে রয়েছেন আপের ২১ জন বিধায়ক। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। এর মধ্যে পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন লড়ার জন্য পদত্যাগ করেছিলেন রাজরৌ গার্ডেনের আপ বিধায়ক জার্নেল সিং। সংবিধান অনুযায়ী, 'অফিস অব প্রফিট' অর্থাত্ কোনও জনপ্রতিনিধি লাভজনক সরকারি পদে বসতে পারবেন না। 


আরও পড়ুন- জিএসটির হার কমায় কোন কোন পণ্য সস্তা হল, জেনে নিন


এদিকে, আপের বিধায়করা পদ হারালে দিল্লিতে 'মিনি বিধানসভা নির্বাচনে'র সম্ভাবনা তৈরি হবে। কারণ, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ২০টি আসনে ফের নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিভিন্ন বিতর্ক ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দিল্লিতে কেজরিওয়াল সরকারের বেহাল দশা। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে অ্যাডভান্টেজ পাবে বিজেপি। সেক্ষেত্রে দিল্লিতে শক্তিশালী বিরোধী হয়ে ওঠার সুযোগ থাকছে তাদের কাছে। আর কেজরিওয়াল বিরোধী বিধায়কদের দলে টানতে পারলে সরকার গড়ার জায়গাতেও গেরুয়া শিবির পৌঁছে যেতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।