নিজস্ব প্রতিবেদন: বৈবাহিক ধর্ষণকে (Marital Rape) অপরাধ বলে গণ্য করার যে মামলা দিল্লি হাইকোর্টে চলছিল, তাতে সর্বসম্মতিক্রমে কোনও রায়দান হল না। রায় নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দুই বিচারপতি। অবশেষে জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই মামলায় রায় দানের সময় বৈবাহিক ধর্ষকে অপরাধের তালিকাভুক্ত করার পক্ষে ছিলেন বিচারপতি রাজীব শঙ্খধর। তবে তাঁর সঙ্গে সহমত হননি বিচারপতি হরিশঙ্কর। একদিকে যখন বিচারপতি শঙ্খধর জানান, স্ত্রীর বিনাসম্মতি শারীরিক সম্পর্ক করলে স্বামীর বিরুদ্ধে আইনত দণ্ডনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তখন হরিশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানাননি। ফলে জল গড়াল দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।  


এই গোটা রায়দান প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের ছবি তুলে ধরতে এক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন বিচারপতি শঙ্খধর। তিনি বলেন, "একজন যৌনকর্মী বা স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া মহিলা তাঁর অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কে না হতে পারেন, কিন্তু একজন বিবাহিত মহিলা পারেন না।"   


বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলে যাওয়ায় এবং দিল্লি হাইকোর্টে কোনও মীমাংসা না হাওয়ায়, স্বভাবতই হতাশ হয়েছেন মামলাকারীরা। মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, "এত লড়াইয়ের পর আমরা দ্বিধাবিভক্ত রায় আশা করিনি। দিল্লি হাইকোর্ট বৈবাহিক ধর্ষণের মতো একটি প্রথা বন্ধ করে দেবে, আমরা ভেবেছিলাম।"


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)