নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে নাম বদলের হিড়িক। নাম পাল্টে গিয়েছে মোগলসরাই, এলাহাবাদ, ফৈজ়াবাদের। এবার কোনটির পালা? এমনই জল্পনা এখন রাজনৈতিক শিবিরে। নাম বদলের তালিকায় রয়েছে আগ্রা, মুজ়াফফরনগর বা গুজরাটের আহমেদাবাদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গেরুয়াকরণের রাজনীতিতে ‘নাম বদলের’ সূত্রপাত শুরু হয় যোগী আদিত্যনাথের হাত ধরেই। এর পরই একে একে অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো যোগীর পথেই হাঁটছে। যার জেরে মোদীর সরকারকে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়তে হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মুসলিম নামের জায়গা বেছে নিচ্ছে বিজেপি। এমনকি সমাজের একাংশ মনে করছে, নাম পরিবর্তন করে ইতিহাস পাল্টে ফেলা যায় না। এই সিদ্ধান্ত ভীষণভাবেই রাজনৈতিক।


আরও পড়ুন- জানুয়ারির আগে অযোধ্যা মামলার শুনানির আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট, বিপাকে বিজেপি


সোমবার ইতিহাসবিদ ইফরান হাবিব দাবি করেন, মুন্সি, মজুমদার, শাহ পদবীর সঙ্গে ইসলামের যোগসূত্র রয়েছে। শাহ পদবী সংস্কৃত নয়। এটি পার্সি। তাঁর কথায়, যদি নাম পরিবর্তন করতেই হয়, তা হলে আগে নিজেদের নাম পাল্টে ফেলুক। এর পর শহরের নাম পরিবর্তন করুক। হাবিবের এই মন্তব্যে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। অমিত শাহই সংসদে প্রস্তাব রেখেছিলেন মোগলসরাইয়ের নাম পরিবর্তনের।


উল্লেখ্য, চলতি বছরে বিজেপির আইকন পণ্ডিত দীনদয়াল উপ্যাধ্যায়ের নামে মোগলসরাইয়ের নাম রাখা হয়। এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় প্রয়াগরাজ। গত সপ্তাহে ফৈজ়াবাদের নাম বদলে অযোধ্যা নাম রাখেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি আগ্রার নাম পরিবর্তন নিয়েও সরব হন বিজেপি নেতারা। উত্তর প্রদেশের বিধায়ক সঙ্গীত সোম দাবি করেন, আগ্রায় সবচেয়ে বেশি বাস করে আগরওয়াল সম্প্রদায়। তাই, আগ্রার নাম পাল্টিয়ে আগরওয়াল বা আগ্রবন নাম রাখা উচিত বলে জানান ওই বিজেপি নেতা। এ দিকে লোকসভা নির্বাচনের আগেই আহমেদাবাদকে কর্ণাবতী নামে নামকরণ করার প্রস্তাব রেখেছেন খোদ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- স্বামীর সুপারিশে চাকরি! সমালোচনার চাপে ইস্তফা দিলেন কেরলের মন্ত্রীর স্ত্রী


উল্লেখ্য, ভারতে এর আগেও অনেক রাজ্য, শহর বা রাস্তার নাম পরিবর্তন হয়েছে। ব্রিটিশ আমলের নাম পরিবর্তন করে কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো একাধিক শহরের নামও পাল্টে ফেলা হয়েছে। ২০১৫ সালে ঔরঙ্গজেব রোডের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নাম পরিবর্তনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি লুকিয়ে ছিল না। সরকারি কাজে বা মানুষের কথা বলার সুবিধার্থেই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।