নিজস্ব প্রতিবেদন: লাভ জেহাদ নয়, রাজস্থানে মালদার শ্রমিক আফরাজুলের খুনের পেছন ছিল সম্পূর্ণ 'ভিন্ন কারণ'। এমনটাই দাবি রাজস্থান পুলিসের। সম্প্রতি আফরাজুল হত্যার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিস। সেখানেই ওই দাবি করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৬ ডিসেম্বর রাজস্থানের রাসমন্দ জেলায় নির্মমভাবে খুন করা হয় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আফরাজুলকে। কুঠার দিয়ে কোপানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে আফরাজুলের দেহ জ্বালিয়ে দেয় শম্ভূলাল রেগার নামে এক ‌যুবক। ক্যামেরাবন্দি করা সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। কিন্তু ঘটনায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করে শম্ভূনাথের একটি দাবি। একটি ভিডিওতে শম্ভুলাল দাবি করেছিল, লাভ জিহাদ থেকে তার এক ‘হিন্দু বোন’-কে বাঁচাতেই সে ওই কাণ্ড করেছে।


আরও পড়ুন-খারাপ সিসিটিভি, জেল হাসপাতাল থেকেই ঘুমের ওষুধ, বন্দি পালানোয় সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য


রাজস্থান পুলিস তাদের চার্জশিটে দাবি করেছে, শম্ভূলাল ‌যে লাভ জেহাদের দাবি করছে তা আসলে গল্প। বরং নিজের অবৈধ সম্পর্কের কারণেই সে লাভ জেহাদের গল্প ফাঁদে। গল্পের কেন্দ্রে শম্ভূলালের এক ‘হিন্দু বোন’। পুলিসের দাবি, ওই 'হিন্দু বোন'-এর সঙ্গেই শম্ভূলালেরই অবৈধ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই মহিলা বাল্লু সেখ নামে আফরাজুলের গ্রামেরই এক ‌যুবকের সঙ্গে এরাজ্যে চলে আসে। তাকে ফিরিয়ে নিয়ে ‌যেতে শম্ভূলাল মালদায় আসে। কিন্তু ওই মহিলা ফিরতে অস্বীকার করে। পরে অবশ্য সে ফিরে ‌যায়। কিছুদিন পরে সে বাল্লুর এক বন্ধুর সাহায্যে ফের পালায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শম্ভূলাল।


আফরাজুল বাংলার শ্রমিকদের রাজস্থানে নিয়ে গিয়ে কাজ দিত। তাই শম্ভুলালের রাগ গিয়ে পড়ে আফরাজুলের উপরে। শম্ভূলাল ঠিক করে আফরাজুলকে খুন করলে সেখানকার বাঙালি শ্রমিকরা ভয়ে সেখান থেকে পালাবে। তার পরই সে আফরাজুলকে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেয়। রাসমন্দের পুলিস সুপার মনোজ কুমার সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন আগামী ১৭ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানি শুরু হবে।