নিজস্ব প্রতিবেদন: আসছে শঙ্করজন্মজয়ন্তী। এ বছর আগামি ৬ মে শঙ্করাচার্যের জন্মতিথি। এদিনটি সারা ভারতে হিন্দুধর্মের প্রতিষ্ঠানগুলি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অষ্টম শতকের প্রথমার্ধের মানুষ শঙ্করাচার্য বা আদি শঙ্কর বেঁচেছিলেন মাত্র ৩২ বছর। এরই মধ্যে তিনি বিপুল কাজ করেছেন, প্রায় অকল্পনীয় তার পরিমাণ ও গভীরতা। তবে শঙ্করের প্রধান লক্ষ্য ছিল অদ্বৈত তত্ত্বের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান ঘটানো। 


সেযুগে হিন্দুদর্শনের মীমাংসা শাখাটি অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতার উপর জোর দিত এবং সন্ন্যাসের আদর্শকে উপহাস করত। আদি শঙ্কর উপনিষদ্‌ ও ব্রহ্মসূত্র অবলম্বনে সন্ন্যাসের গুরুত্ব তুলে ধরলেন। তিনি উপনিষদ্‌, ব্রহ্মসূত্র ও ভগবদ্গীতার ভাষ্যও রচনা করেন। এই বইগুলিতে শঙ্কর তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ মীমাংসা শাখার পাশাপাশি হিন্দু দর্শনের সাংখ্য শাখা ও বৌদ্ধ দর্শনের মতও খণ্ডন করেন।


কেরল রাজ্যের কালাডি নামের গ্রামে শঙ্করাচার্যের জন্ম হয়েছিল। ছেলেবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ছিলেন অসাধারণ। মাত্র আট বছর বয়সেই তিনি চারখানি বেদ পড়ে শেষ করে ফেলেছিলেন! খুব অল্প বয়সে সন্ন্যাসীও হয়ে যান তিনি। কেরল ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন প্রব্রজ্যায়। যান উত্তর ভারতে।


হিন্দুধর্মকে পথনির্দেশ দেওয়ার জন্য ভারতের চার প্রান্তে স্থাপন করেন চারখানি মঠ। এই মঠগুলি হল শৃঙ্গেরী (কর্ণাটকে), দ্বারকা (গুজরাতে), পুরী (ওড়িশায়) ও জ্যোতির্মঠ বা জোশীমঠ (উত্তরাখণ্ডে)। কেউ কেউ বলেন, শঙ্করাচার্য দক্ষিণে রামেশ্বরম মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


আরও পড়ুন: Impact Feature: দু'বছরের ক্ষতি এড়াতে এবার 'মেগা প্ল্যান' রাজস্থান ট্যুরিজমে; কমছে 'প্যালেস অন হুইলসে'র ভাড়া


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)