নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে আর দেখা যাবে না দীর্ঘদিনের যোদ্ধা শরদ পাওয়ারকে। পুণে আসনে লোকসভা নির্বাচনে শরদ পাওয়ার প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। তবে শনিবার এনসিপি নেতা জিতেন্দ্র আওয়াধ স্পষ্ট করলেন, ২০১৯ সালে লড়াই করবেন না দলের সভাপতি। ২০১৪ সালেই তিনি এব্যাপারে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনসিপি নেতা আরও বলেন,''প্রার্থী পদে তাঁর নাম যাতে বিবেচনা না করা নয়, তা স্পষ্ট করেছেন পাওয়ার। আজকের বৈঠকেও তিনি বলেছেন, প্রার্থী পদের দৌড়ে নেই। তাঁর নামে কেউ যেন প্রস্তাব না দেয়''।    


মাওয়াল লোকসভা আসনে দলের প্রবীণ নেতা অজিত পাওয়ারের ছেলে পার্থ পাওয়ারের প্রার্থীপদ নিয়ে শরদ পাওয়ার অসন্তোষপ্রকাশ করেছেন বলে খবর। তবে তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়াধ। 


মহারাষ্ট্রে এবার কংগ্রেসের জোট গঠন করতে পারে এনসিপি। বিশেষ করে বিজেপি-শিবসেনা জোট হচ্ছে ধরে নিয়েই শরদ পাওয়ারের দলকে পাশে চাইছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সমান-সমান আসন চেয়েছে এনসিপি। ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২০১৪ সালে জোটে লড়াই করেছিল এনিসিপি-কংগ্রেস। সেবার ২৭টি আসনে কংগ্রেস ও বাকি ২১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এনসিপি। তবে কংগ্রেসের শোচনীয় অবস্থায় মওকা বুঝে মহারাষ্ট্রে ২৪টি আসন দাবি করেছেন শরদ পাওয়ারের দল। এদিন জালনা, ঔরাঙ্গাবাগ, ধুলে ও হাটকানাঙ্গলে আসনের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিল এনিসিপি। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে এই আসনগুলি থেকে লড়াই করেছিল কংগ্রেস।


 উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে এখনও শিবসেনার সঙ্গে সমঝোতা করে উঠতে পারেননি অমিত শাহ। আগেভাগেই একা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সেই অবস্থান থেকে এখনও সরে আসনেনি তিনি। উল্টে প্রতিদিনই দলের মুখপত্র শিবসেনায় মোদী বিরোধী সম্পাদকীয় ছেপে শরিক দলকে চাপে ফেলে যাচ্ছে শিবসেনা। মাসখানেক আগে মুম্বইয়ের মাতোশ্রীতে গিয়ে শিবসেনা প্রধানের সঙ্গে বন্ধঘরে কথা বলে রাগ প্রশমনের চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তবে তাতে সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে কংগ্রেসের দাবি, এসবই বিজেপি-শিবসেনার নাটক। ভোটের আগে ঠিক একজোট হয়ে যাবে দুই দল। মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এটা শিবসেনা-বিজেপির পুরনো খেলা।       


আরও পড়ুন- ভেমুলার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোটে গেরুয়া সুনামি