উত্তপ্ত অযোধ্যায় ভিএইচপি-আরএসএস সমর্থকদের ঢল, দুপুরেই আসছেন উদ্ধব
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর এভাবেই লোকজন জড়ো করেছিল ভিএইচপি, শিবসেনা, বিজেপি। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল
নিজসব্ প্রতিবেদন: কমপক্ষে তিন হাজার শিব সৈনিক আগেই স্পেশাল ট্রেনে থানে ও নাসিক থেকে রওনা হয়েছেন অযোধ্যার উদ্দেশ্য। শনিবার দুপুরে আসছেন সেনা প্রধান।
রবিবার রয়েছে ভিএইপি-আরএসএসের হুঙ্কার র্যালি ও ধর্ম সভা। তারাও আনছে কমপক্ষে ২ লাখ কর্মী। মোতায়ন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিস। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সবেমিলিয়ে রবিবার যুদ্ধের পরিস্থিতি অযোধ্যায়।
আরও পড়ুন-#ShahonZee:অর্ডিন্যান্সের দরকার নেই, রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে মন্তব্য অমিতের
রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে বহুদিন আগেই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এনিয়ে তিনি একাধিকবার বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। শিবসেনার এখন স্লোগান, পহলে মন্দির, ফির সরকার।
শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ অযোধ্যায় এসে পৌঁছবেন উদ্ধব। এমনটাই ঠিক রয়েছে। দুদিন অযোধ্যার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে শিবসেনার। রাজ্য ২৮৮টি জায়গায় আরতির আয়োজন করেছে তারা। রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থলে বিশেষ পুজো দেবেন উদ্ধব। আড়াইটে নাগাদ তিনি দেখা করবেন সাধুদের সঙ্গে। এদিন রামজন্মভূমি ন্যাসের প্রেসিডেন্ট মহন্ত নিত্যানন্দ দাসের সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মহন্ত অঞ্জনি দাস বলেন, উদ্ধবকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। উনি যে ইস্যু তুলেছেন তা দেশের হিন্দুদের মনের কথা। তবে উনি যদি রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে আসেন তাহলে তাতে কোনও লাভ হবে না। প্রসঙ্গত, মহন্ত অঞ্জনি দাস যাই বলুন না কেন, উদ্ধবের অযোধ্যায় আগমনকে রাজনীতি হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ, ফের সরব হলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়
এদিকে, অযোধ্যায় ওই বিশাল জমায়েতের ফলে বহু মুসিলম শহর ছেড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবর। বিশেষকরে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাবরি মামলার বিবাদি ইকবাল আনসারি। অযোধ্যার ডিজিপি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলার কোনও অবণতি হবে না।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর এভাবেই লোকজন জড়ো করেছিল ভিএইচপি, শিবসেনা, বিজেপি। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। ফলে আশঙ্কা একটা থেকেই যাচ্ছে অযোধ্যাবাসীর মধ্যে।