নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর নিয়ে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদির মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাকিস্তানে। পাশাপাশি, ভারতও আফ্রিদির মন্তব্যকে  কাজে লাগিয়ে সমালোচনায় নেমেছে ইমরান খানের সরকারের। গত কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের পর শিবসেনাও তাদের মুখপত্র ‘সামনা’য় কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় গাজায় লণ্ডভণ্ড তামিলনাড়ু; মৃত ১১, সরানো হল ৭৬,০০০ মানুষকে


আফ্রিদি ব্রিটেনের এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন, পাকিস্তান তাদের ‘বিক্ষুব্ধ’ চারটি প্রদেশকে সামলাতে পারছে না। কাশ্মীরকে কীভাবে সামলাবে? তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরের মানুষ কী চাইছেন, তা তাঁদের উপর ছেড়ে দিক ভারত এবং পাকিস্তান। অন্তত মানবিকতার খাতিরে। আফ্রিদির এই মন্তব্যে শিবসেনা দাবি করে, পাকিস্তানের সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের এমন দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত। দলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, যে দেশকে স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও বাইরে দেশের কাছে ভিক্ষা করতে হয়, তাদের কাশ্মীর নিয়ে মাথা গলানো উচিত নয়। শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসকে সমর্থন করে করুণ পরিণতি হয়েছে পাক অর্থনীতি। এখন প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের গাড়ি, গবাদি পশু বিক্রি করা বাকি রয়েছে। বিপর্যস্ত অর্থনীতির কিনারায় দাড়িয়ে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ইমরান খানের সরকারকে সাহায্য করা বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও প্রতিবেশী দেশ চিনের কাছে হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে।


আরও পড়ুন- আয়াপ্পা ভক্তদের তুমুল বিক্ষোভ, সবরীমালার পথে বিমানবন্দরেই আটকে সমাজকর্মী তৃপ্তি


শিবসেনা প্রশ্ন তোলে, যে দেশে তাদের অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে সময় কেটে যায়, সেই দেশ কীভাবে কাশ্মীর সামলাবে। আফ্রিদির মতো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষও একই কথা বলবে। উল্লেখ্য, এর আগে কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতবিরোধী কথা বলে শিবসেনার রোষে পড়েছিলেন এই প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। আফ্রিদি দাবি করেছেন, তাঁর ভিডিয়োর ভুল ব্যাখ্যা করছে ভারতের সংবাদমাধ্যম। তিনি দাবি করেন, ওই অনুষ্ঠানে আরও অনেক কিছু বলেছি কাশ্মীর প্রসঙ্গে। ভিডিয়ো ক্লিপটি অসম্পূর্ণ। আগে যা বলেছি ওই  ভিডিয়োতে নেই। তিনি বলেন, কাশ্মীরের লড়াইকে যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনই নিজের দেশকে ভালবাসি। কাশ্মীরে ভারত কঠিন শাসন চালাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের আইন অনুযায়ী সমাধান করা উচিত। তবে, আফ্রিদির এই মন্তব্যর পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ইমরান খানের সরকারের।