নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট মেটার পর সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিজেপিকে একেবারে চেপে ধরেছে শিবসেনা। সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি করে বসেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর মুখে এক রা, ৫০-৫০ করতে হবে। শিবসেনা জানিয়ে দিয়েছেন, আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী থাকুক দুই দলের। আর সেটাও লিখিত দিতে হবে বিজেপিকে। যদিও এখনও পর্যন্ত সংযত বিজেপি নেতৃত্ব। তারা সামনাসামনি শিবসেনা বিরোধী মন্তব্য এখনও করেনি। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও জানিয়ে দিয়েছেন, শিবসেনার সঙ্গে জোট সরকার ৫ বছর চলবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এটাকেই সম্ভবত বলে ঝোপ বুঝে কোপ! ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সমঝোতা করে লড়াই করেছে বিজেপি-শিবসেনা। স্বভাবতাই ১৫০ আসনে লড়ে অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত না বিজেপি। সেই সুযোগটাই ভোটের পর তুলছে শিবসেনা। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ১০৫টি আসন। শিবসেনা পেয়েছে ৫৬। সরকার গঠনের যাদুসংখ্যা ১৪৫। ফলে জোট ছাড়া কোনওভাবেই সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি। আর মোদী-শাহকে মহারাষ্ট্রে আটকাতে শিবসেনাকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার আভাস দিয়ে দিয়েছে এনসিপি-কংগ্রেস। শিবসেনা বিগড়ে যাওয়ায় বিজেপিও শরদ পাওয়ারের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। 


শুক্রবার ফলপ্রকাশের পরই উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দিয়েছিলেন, অমিত শাহকে আসতে হবে। রাজ্য নেতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন না। জোট হয়েছিল ৫০-৫০ ক্ষমতার বণ্টনের ভিত্তিতে। সেই কথা রাখার সময় এসে গিয়েছে। আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই অবস্থান ধরে রেখেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। শিবসেনা নেতা তথা বিধায়ক প্রতাপ সরনায়েক বলেন, ''অমিত শাহ ও দেবেন্দ্র ফড়ণবীস নির্বাচনের আগে ৫০-৫০ ফরমুলা দিয়েছিলেন। সেই কথা রাখতে হবে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী পদ আড়াই আড়াই বছর করে দিতে হবে। সেটা লিখিতভাবে দিতে হবে অমিত শাহ বা দেবেন্দ্রকে।''



বিজেপি প্রতিশ্রুতি না রাখলে পথ যে খোলা রয়েছে, তাও স্পষ্ট করেছেন প্রতাপ। তাঁর কথায়,''বিজেপি দাবি না মানলে অন্য বিকল্পও রয়েছে।'' বিকল্পটা কী? তা সহজেই অনুমেয়। এনসিপি ও কংগ্রেসের মোট আসন ৯৮। তার সঙ্গে শিবসেনার ৫৬টি আসন যোগ হলে সহজেই সরকার গড়ার মতো প্রয়োজনীয় আসন জোগাড় করে নেবে উদ্ধব ঠাকরের দল। আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন উদ্ধব ঠাকরে। 


আরও পড়ুন- অমিতের বাড়িতে জোট করলেন ছেলে দুষ্মন্ত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিহার থেকে ছুটি বাবার