ওয়েব ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের এক্সিট পোলের ফলাফল মুখের হাসি চওড়া করছে বিজেপির। কিন্তু তা সত্বেও অস্বস্তির খোঁচা রয়েই যাচ্ছে গেরুয়া বাহিনীর জন্য। বিজেপির জন্য এই অস্বস্তি দ্বিমুখী। কারণ এই অস্বস্তির এক মুখে রয়েছে দীর্ঘ দিনের জোট সঙ্গী শিবসেনা আর অন্যদিকে 'পুরানো ও স্বাভাবিক মিত্র' বিজু জনতা দল (বিজেডি)। কিন্তু সমস্যাটা ঠিক কী? হঠাত্ এই দলগুলি বিজেপির অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিবসেনা ইতিমধ্যেই হাবেভাবে কেন্দ্রের বিরোধীদের বুঝিয়ে দিয়েছে যে, হিন্দুত্ব ও পাকিস্তান (বিরোধিতা) ইস্যু ছাড়া যেকোনও ইস্যুতে তারা কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিপক্ষে দাঁড়াতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও সেনার সাম্প্রতিক 'মন কাষাকষি'ই কারণ। উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত মহারাষ্ট্র পুর নির্বাচনের আগেই বিজেপিকে 'গুন্ডাদের দল' বলে উল্লেখ করেছিলেন সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ভবিষ্যতে সেনা কখনই জোটের দরজায় কড়া নাড়বে না। অর্থাত্‍ ইঙ্গিত স্পষ্ট, জোট রাখতে চাইলে বিজেপিকেই 'বিশেষ উদ্যোগ' নিতে হবে। এরপর আরব সাগর দিয়ে বয়ে গেছে বেশ অনেকটা জল। বৃহন্মুম্বই পুরসভা সহ অধিকাংশ পুরসভাতে চমকপ্রদ ভাল ফল করলেও মুম্বাইয়ের মেয়রের চেয়ারে বসে বালা সাহেবের দলের প্রতিনিধিই। আর এবার সংসদে বিরোধীদের সরাসরি বিজেপি বিরোধীতায় পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়ে নিজেদের 'বিদ্রোহী অবস্থান'ই স্পষ্ট করলেন উদ্ধব অ্যান্ড কোং, বলে মত রাজনৈতিক মহলের।


অন্য দিকে, বর্তমানে এনডিএর শরিক না হলেও বিজেডি বরাবরই কেন্দ্রকে যেকোনও ইস্যুতে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। কিন্তু ওড়িশার পুরভোটে বিজেপির সাম্প্রতিক উত্থান দেখে সিঁদুরে মেঘ দেখছে নবীন পট্টনায়কের দল। এরাজ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার নিরিখে দীর্ঘদিনের দুনম্বর কংগ্রেসকে সরিয়ে দিয়ে এখন কার্যত বিজেডিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে মোদীর বিজেপি। আর তাই 'স্বাভাবিক মিত্রতা' ছেড়ে বিজেডিও এখন বৈরিতার পথে।


এই বৈরিতার পূর্বাভাষই আপাতত আশঙ্কা বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবিরের। তবে, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ ভোটের ফল এবং অন্যান্য চার রাজ্যের ফলও যদি মোটামুটি বিজেপির অনুকূলে থাকে তাহলে এই বিরোধিতার ধার বেশ খানিকটা কমবে বলেও মত বিশ্লেষকদের। কিন্তু তারপরও যে ধার থাকবে সেটাও অস্বীকার করছেন না কেউ। (আরও পড়ুন- লালু প্রসাদ যাদবের একটি টুইটার পোস্ট এখন ভাইরাল! (দেখুন পোস্টটি))