নিজস্ব প্রতিবেদন:  কথা বলার সময়ে মাঝে ছিল কাচের দেওয়াল। কথা হয়েছিল ইন্টারকমের মাধ্যমে। ২২ মাস পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কুলভূষণ ‌যাদবের সঙ্গে তাঁর মা-স্ত্রীকে এভাবেই কথা বলতে দিয়েছিল পাকিস্তান। এর পরও আরও অনেক রকম আমানবিক আচরণ করা হয় কুলভূষণের স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার আগে কুলভূষণের স্ত্রীর জুতো খুলে নেয় পাক নিরাপত্তাকর্মীরা। কারণ ওই জুতোর মধ্যে ‘কিছু একটা’ ছিল। এমনটাই সন্দেহ পাক গোয়েন্দাদের। শুধু তাই নয় গলার মঙ্গলসূত্র, গহনা খুলে ঢুকতে হয় সাক্ষাত কক্ষে।


উল্লেখ্য, কুলভূষণের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার পর সেই বায়েজাপ্ত করা জুতো কুলভূষণের স্ত্রীকে ফেরত দেওয়া হয়নি। এনিয়ে বলতে গিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাহমুদ ফয়সল সংবাদ মাধ্যমে বলেন, নিরাপত্তার কারণে কুলভূষণের স্ত্রীর জুতো বাজেয়াপ্ত করা হয়। কারণ ওই জুতোর মধ্যে সন্দেহজনক ‘কিছু একটা’ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-নাম মাহাত্ম্যেই পদপ্রাপ্তি? হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বুধবারই শপথ নিতে চলেছেন জয়রাম ঠাকুর


এদিকে, নিয়ে নেওয়া ওই জুতো কুলভূষণের স্ত্রীকে ফেরত দেওয়া হয়নি। এ ব্যপারে ফয়সল বলেন, জুতোটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এর পরিবর্তে অন্য জুতো তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর গহনাও ফেরত দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারত হইচই করছে অথচ কুলভূষণের মা ওই সাক্ষাতকার নিয়ে পাকিস্তানের উপরে সন্তুষ্ট।


উল্লেখ, স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কুলভূষণের স্ত্রীকে মঙ্গলসূত্র, বিন্দি, হাতের বালা খুলে ফেলতে বলা হয়। এমনকি তাঁর জুতোও জমা দিতে বলা হয়। তার পরই তাঁকে স্বামীর সেঙ্গ সাক্ষাত করতে দেওয়া হয়। ভারতের অভি‌যোগ কোনও অজ্ঞাত কারণে ওই জুতো ফেরত দেয়নি পাকিস্তান।