ব্যুরো:আশ্চর্য রক্ষা সেনা জওয়ানের। বরফ স্তুপের তলায় টানা ৬দিন চাপা থাকার পরও জীবিত ল্যান্স নায়েক হনমান্থ কোপ্পাড়ের। কী করে হল মিরাক্যাল? কী বলছেন অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৫ ফুট বরফের তলায় টানা ছদিন। তারপরও বেঁচে ফিরেছেন ল্যান্সনায়েক হনুমান্থ কোপ্পাড। আশ্চর্য রক্ষা। মানছে গোটা দেশ। কিন্তু কী করে ঘটল এমনটা ? কী বলছে বিজ্ঞান? কীভাবে ব্যাখা করছেন অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা?


কী করে রক্ষা?
একাধিক শৃঙ্গজয়ী অভিজ্ঞ পর্বতারোহী বসন্ত সিংহরায়ের মতে, সিয়াচেনের মতো প্রতিকূল পরিবেশে তুষারঝড় খুবই স্বাভাবিক। দুর্ঘটনায় প়ডলে সবচেয়ে জরুরি অক্সিজেন, জল ও খাবার।


তুষার ধসে আটকে পড়ার ৩মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্তের কাছে অক্সিজেন পৌছনো দরকার। ৩দিনের মধ্যে দরকার খাবার। জল ছাড়া ৭দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা সম্ভব। বসন্তবাবুর মতে, বরফের চাঁইয়ের তলা চাপা পড়ে থাকলেও কোনও পকেট থেকে হনমান্থের কাছে এই কদিন ধরে সামান্য হলেও, অক্সিজেন পৌছছে। আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে হনুমান্থের অফুরান জীবনীশক্তি। দুয়ের জোরেই মৃত্যুকে হারিয়ে দিয়েছেন হনমান্থ। ঠিক যেভাবে দু-দুবার মৃত্যুকে হার মানিয়েছিলেন তিনি নিজে।


মৃত্যুঞ্জয়ী বসন্ত সিংহরায়


২০১২-য় অন্নপূর্ণা ওয়ান শৃঙ্গজয় করতে গিয়ে তুষারঝড়ের মুখে পড়েন বসন্ত সিংহরায়। কিন্তু, মৃত্যু নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলেন তিনি। আচমকাই তুষার ধস চেহারা নেয় বরফ ঝড়ের। কোনমতে রক্ষা পান তিনি।


পরের বছর আবার একই অভিজ্ঞতা। ২০১৩-য় ধৌলাগিরি জয় করতে গিয়ে আবার তুষার ঝড়ের মুখে পড়েন বসন্তবাবু। হারিয়ে যায় পথ। ফুরিয়ে যায় অক্সিজেনও। কিন্তু, লড়াই ছাড়েননি। শেষপর্যন্ত এক ইজরায়েলি উদ্ধারকারী টিম স্পট করে তাঁকে। সে যাত্রায় রক্ষা।


'ছন্দা'পতন


কিন্তু,ভাগ্য ততটা সহায় ছিল না ছন্দা গায়েনের। ২০১৪-য় কাঞ্চজঙ্ঘার পশ্চিম শৃঙ্গ ইয়ালুকাং অভিযানে গিয়ে তুষারধসের মুখে পড়েন তিনি। পা পিছলে বরফের স্তুপে তলিয়ে যান ছন্দা। পশ্চিমবঙ্গ ও নেপাল সরকারের যৌথ উদ্ধারকারী দলও খুঁজে বের করতে পারেনি ছন্দাকে। শেষপর্যন্ত তাঁকে মৃত ঘোষণা করে নেপাল সরকার।


সম্বল জীবনীশক্তি


তবে, সবথেকে জরুরি জীবনী শক্তি। বাঁচার ইচ্ছা আর অবশ্যই মানসিক জোর। যার জোরেই বেঁচে ফিরেছেন বসন্ত সিংহরায়। বেঁচে ফিরলেন হনুমান্থ।