অনুষ্টুপ রায় বর্মণ: প্রবল বৃষ্টি, ধস। সঙ্গে বাঁধভাঙা বান! ভয়াবহ বিপর্যয় সিকিমে। ঘটনার সময় থেকে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান, গাড়ি সহ বহু সামরিক সরঞ্জাম। নিখোঁজ জওয়ানদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১ জনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিকিম সরকার ২২টি ত্রাণ শিবির তৈরি করেছে। দশ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ভেঙে গিয়েছে। ফলে যাতায়ত ব্য়বস্থা বিচ্ছিন্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেঘভাঙ বৃষ্টি, বাঁধভাঙা হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিকিম। ভেঙে পড়েছে ১৪টি সেতু। আটকে পড়েছেন প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক। ঘটনার সূত্রপাত্র হয় ভোর রাতে। জলের প্রবল স্রোতে ভেসে যায় সিকিমের চুংথাং বাঁধে একাংশ। প্লাবিত হয় বিভিন্ন এলাকা। বন্য়ার জলে ফুঁসছে তিস্তা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজে নেমেছে  এনডিআরএফ, আইটিবিপি, সেনা ও স্থানীয় প্রশাসনও।


এর মধ্যেই সেনাবাহিনির সূত্রে জানানো হয়েছে যে নিখোঁজ ভারতীয় সেনাদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী খাদ্য, চিকিৎসা সহায়তা এবং উত্তর সিকিমে আটকে থাকা সাধারণ নাগরিক ও পর্যটকদের যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা শুরু করেছে।



তাঁরা আরও জানিয়েছেন নিখোঁজ ভারতীয় সৈন্যদের সন্ধানে তিস্তা ব্যারেজের ভাটির দিকে অনুসন্ধান চালান হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Hindu Marriage: হিন্দুমতে এই রীতিটি না মানলে বৈধই নয় বিয়ে! জানিয়ে দিল হাইকোর্ট...


সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএস রাওয়াত জানিয়েছেন যে, ‘এখনও পর্যন্ত একজন জওয়ানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আমরা আরও কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তাঁদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে’।   


পাশপাশি সিংটামের কাছে বর্ডাং-এ ঘটনাস্থল থেকে মাটি খুঁড়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএস রাওয়াত আরও জানিয়েছেন যে, ‘তিস্তার বন্যায় ভেসে যাওয়া সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম যেমন আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ভেসে গিয়েছে। সেগুলি উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। নিখোঁজ সামরিক সরঞ্জাম এবং আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ সম্পর্কে এখনও নির্ধারণ করা যায়নি’।


 



অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তা করার জন্য টিএমআর অর্থাৎ তিরাঙ্গা মাউন্টেন রেসকিউ, ট্র্যাকার কুকুর, বিশেষ রাডার সহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Manish Sisodia | Delhi Liquor Policy: '২ মিনিটে কেস খারিজ হয়ে যাবে', দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল ইডি-র


সেনাবাহিনির মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ত্রিশক্তি কর্পস লাচেন, লাচুং এবং চুংথাং এলাকায় থাকা ১৪৭১ পর্যটকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে ৬ অক্টোবর আবহাওয়ার উন্নতি হলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হেলিকপ্টারের সাহায্যে আটকে পড়া পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। রাজ্য সরকার, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী যৌথভাবে এই পরিকল্পনা করছে।


জানা গিয়েছে যে সড়ক যোগাযোগ শুরু করার লক্ষ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য একটি লেন পরিষ্কার করে সিংতাম এবং বরদাংয়ের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ফের চালু করা হয়েছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)