নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী বছরেই লোকসভা ও বিধানসভা নির্বচান একসঙ্গে করা সম্ভব, খোদ নির্বাচন কমিশনের ঘর থেকেই এমন ইঙ্গিত শোনা গেল। বুধবার সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত বলেন, "কেন্দ্র আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল একসঙ্গে নির্বাচন করার। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা প্রস্তুত হয়ে যাব। এবার কেন্দ্রই সিদ্ধান্ত নেবে কবে এটা আইন পাস করিয়ে কার্যকর করা যায়।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাঁচ বছর অন্তর লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ফি-বছর জনগণকে নির্বাচনের থেকে রেহাই দিতে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিপুল খরচের ভার কমাতে এই পথই আদর্শ বলে বারংবার দাবি করেছেন মোদী। যদিও একসঙ্গে নির্বাচন হওয়ার বিপক্ষে রয়েছে অনেকগুলি বিরোধী দল। গত মে মাসে কলকাতায় এসে প্রাক্তন লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে দুটো নির্বাচন করা কার্যত অসম্ভব। প্রচুর নিরাপত্তাবাহিনী দরকার পড়বে।


আরও পড়ুন- আদিত্যনাথকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল মহারাষ্ট্র এটিএস, দাবি মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্তের   


ইতিমধ্যে কেন্দ্রের অনুদানে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ৪০ লক্ষ ভিভিপিএটি(ভোটার ভেরিফায়াবল পেপার অডিট ট্রেইল)মেশিন নিয়ে আসছে, বলে জানান রাওয়াত। জানা যাচ্ছে, ভোটার যে দলের প্রতীকে ভোট দেবেন, তার একটি প্রিন্ট আউট ওই মেশিন থেকে বেরিয়ে ভোট বক্সে পড়বে। ওই কাগজ ভোটদাতারা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না। বেশ কিছু জায়গায় পরীক্ষমূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে ইভিএম কারচুপি অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে ১৬টি রাজনৈতিক দল পুনরায় ব্যালট ফিরয়ে আনার দাবি জানায় কমিশনের কাছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ইভিএম কারচুপির এই অভিযোগ মানতে চায়নি। বরং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অভিযোগ কখনও না ওঠে সে জন্যই ভিভিপ্যাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর কমিশন সূত্রে।


আরও পড়ুন- কেরলে বিজেপি বিরল, তাই কি সানি স্মরণ?