ওয়েব ডেস্ক:রানাঘাটের গাঙনাপুরে কনভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড মেরির  সিস্টারকে গণধর্ষণ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ হাইওয়ের ওপর ওই স্কুলে ঢোকে ৭-৮ জনের ডাকাত দল। প্রথমে অফিস ঘরের তালা ভেঙে, সেখানে রাখা ১২ লক্ষ টাকা লুঠ করে তারা। সেসময় সিকিওরিটি গার্ডরা বাধা দিতে এলে তাদের বেধে রাখে ডাকাতরা। আওয়াজ পেয়ে অফিস ঘরে পৌছন বেশকয়েক সিস্টার , তাদেরও বেধে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত ওই সিনিয়র সিস্টার বাধা দিলে তাকে গণধর্ষণ করা হয়।  আশঙ্কাজনক অবস্থায়  সিস্টারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে  নদিয়ার পুলিস সুপার। এঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। অবরোধ করা হয়েছে রেলও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রানাঘাটে সিস্টারকে গণধর্ষণের কড়া নিন্দা করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর প্রতিক্রিয়া, সম্প্রতি দেশজুড়ে ঘর বাপসির নামে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হচ্ছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।


রানাঘাটকাণ্ডে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক। এনিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করছে তৃণমূল। পাল্টা তোপ বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের।


রানাঘাটে সিস্টারকে গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। আজই সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই ভবানীভবন থেকে  চার সদস্যের সিআইডি টিম পৌছছে গাঙনাপুরে। টিমে রয়েছে DSP পদমর্যাদার একজন অফিসারও। প্রাথমিকভাবে,  স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সিসিটিভির ফুটেজে যে ছবি ধরা পড়েছে তা থেকে অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা কথা বলছেন আক্রান্তদের সঙ্গেও। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হচ্ছে। সিআইডির পাশাপাশি,গাঙনাপুর যাচ্ছে ফরেন্সিক টিমের সদস্যরাও।