মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে কৃষক মহিলা ও ছাত্রদের একজোট করে গেরুয়া ঠেকাতে চাইছে সিপিএম। শনিবার বিহারের সমস্তিপুর জেলায় সিপিএমের সভায় 'বিজেপি ভাগাও'য়ের ডাক দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।  মহাভারতের প্রসঙ্গ টেনে বিঁধলেন মোদীকে।  


বাংলার পাশের রাজ্য বিহারে সিপিএমের সংগঠন আহামরি নয়। সেই বিহারের সমস্তিপুর জেলাতেই জনসভা করে চমকে দিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। কৃষক, যুবক ও মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সিপিএমের দাবি, প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এসেছিলেন। সিপিএমের বিহার রাজ্য কমিটির ডাকে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা। 



সংবিধান ও সাংবিধানিক সংস্থাগুলির ওপর বিজেপি যেভাবে আক্রমণ নামিয়ে আনছে, তার বিরুদ্ধে গোটা দেশের মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন বলে সমবেত কণ্ঠে জানান সিপিএম নেতারা। সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ''মহাভারতে কৌরবদের একশো ভাই থাকলেও দুর্যোধন এবং দুঃশাসনের নামই মানুষের কাছে বেশি পরিচিত। সেরকম গোটা দেশে বিজেপি-আরএসএস আজ  যেভাবে সামাজিক স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি নষ্ট করতে উদ্যত হয়েছে, সে জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। ইয়েচুরি আরও বলেন,''মহাভারতে কৌরবদের যেমন পান্ডবরা বিনাশ করেছিল, তেমনি এযুগের ‘দুর্যোধন-দুঃশাসন’-কে বাম ঐক্য এবং কৃষকদের কাস্তে ও শ্রমিকদের হাতুড়িই বিনাশ করবে। ইয়েচুরির বক্তব্য, বিজেপি-র নেতৃত্বে এই সরকার সুপ্রিম কোর্ট, সি বি আই এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওপর দখলদারি চালিয়ে কবজা করতে চাইছে। ওদের লক্ষ্য, হাতে গোনা কয়েকজন দেশি ও বিদেশি কোটিপতির কাছে দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া।


আরও পড়ুন- মমতার ব্রিগেডে 'না', রাহুলকে পাল্টা ব্রিগেডের প্রস্তাব সোমেনের


পলিট ব্যুরো সদস্য ও সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ''মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গোটা দেশে এখন কৃষকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শোষণ-পীড়নের বোঝা কৃষকদের ওপরেই চেপেছে। মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে, ওরা নাকি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক দেড়গুণ বেশি ধার্য করেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মিথ্যাবাদী সরকারকে উৎখাত করেই দেশের কৃষক-সহ সাধারণ জবাব দেবেন।