ওয়েব ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের পর এবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। দুজনের মধ্যে আলোচনা হয় আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে। দুজনেই সহমত হয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী পক্ষ থেকে যেন একজন প্রার্থীকেই বেছে নেওয়া হয়। আর এর জন্য, সকল বিজেপি বিরোধী ধর্ম নিরেপেক্ষ দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমত হওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছেন দুই নেতৃত্বই। তবে প্রশ্ন থাকছে একটাই, যে প্রার্থীকেই বাছা হোক না কেন, সেক্ষেত্রে কী আদৌ সক্কলের সহমত হওয়াটা সম্ভব? আরও পড়ুন- সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিরোধী জোটের ডাক নীতিশের


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই মুহুর্তে নারদ ইস্যুতে বেকায়দায় বর্তমান ভারতের 'তৃতীয় বৃহত্তম পার্টি' তৃণমূল। আবার সংসদে এবং সংসদের বাইরে বাকি বিরোধী দলগুলোর থেকে তুলনামূলক বেশি আগ্রাসী মেজাজে বিজেপি বিরোধিতা করতেও দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকেই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসের পরেই বিজেপির 'টার্গেট' বাংলার ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। অন্যদিকে বাংলায় তথা গোটা ভারতেই তৃণমূল বিরোধিতায় সরব বামেরা। এমন অবস্থায় কংগ্রেস-বাম-তৃণমূল সবাইকে একসঙ্গে একই বৃত্তে আনা কি আদৌ সম্ভব? প্রশ্ন থাকছেই। 


আবার এরই মধ্যে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে বিজেপি বিরোধিতায় সোচ্চার হওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করেছেন প্রভাত পট্টনায়ক, অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও। অন্যদিকে দিল্লিতে আবার 'মমতা বন্ধু' অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ভারতের রাজনৈতিক সমীকরণ কোন দিকে যাচ্ছে তা বোঝা, এক কথায় 'ঘোলা জলে মাছ ধরা'! 


উল্লেখ্য, কয়েকদিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। ২৫ জুলাই ২০১২ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সেবার নিশ্চিত হার জেনেও কংগ্রেস প্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পি এ সাংমাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এবারে ছবিটা ঠিক উল্টো। বিজেপি'র প্রার্থীই জিতবে, এবিষয়ে কারো কোনও দ্বিমত নেই। এমন অবস্থায় একটি মুখকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসলে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে 'অ্যাসিড টেস্ট', মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।