নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতার প্রস্তাব হেলায় উড়িয়ে দিলেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রী জানান, শীতকালে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বড় জনসভা করবে তৃণমূল। আর সেই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হবে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের। তবে মমতার এই আমন্ত্রণ ইয়েচুরি গ্রহণ করবেন কি না জানতে চাওয়া হলে এই বাম নেতা বলেন, ওই সভায় উপস্থিত হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এরপরই পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর আর বক্তব্য, কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই লড়াই করছে সিপিআইএম। ফলে, তৃণমূলের ডাকা এমন সভায় বামেদের উপস্থিত হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ইয়েচুরির এদিনের এই মন্তব্য বিজেপি বিরোধী জোট তৈরির প্রচেষ্টাকে ধাক্কা দেবে কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে জল্পনা।


প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে দেশ জুড়ে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত, অ-বিজেপি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট করার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকারী ভূমিকা নিচ্ছেন মমতা, এমনটাই বিশ্লেষণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। সাম্প্রতিক কালে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে কুমারস্বামীর শপথগ্রহণের মঞ্চে দেশের তামাম বিরোধী নেতৃত্বকে একসঙ্গে দেখা যায়। মমতাকে সেখানে কার্যত 'কেন্দ্রীয় চরিত্র' হয়ে উঠতে দেখা যায়। এছাড়া, অখিলেশ সিং যাদব ও মায়াবতীকে কাছাকাছি নিয়ে আসতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আবার তেলেগু দিশম পার্টি (টিডিপি), এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরই টুইটারে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায় মমতাকে। তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও একাধিকবার মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নিকট অতীতে। এমন আবহে, ফের বিরোধীদের একজোট করতেই মমতা শীতকালে ব্রিগেডের সমাবেশে তাঁদের আমন্ত্রণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।