নিজস্ব প্রতিবেদন: নীতি আয়োগ প্রস্তাব দিলেও এখনই পেট্রোল বা ডিজেল চালিত যান বন্ধের বিষয়ে কোনও সময়সীমা বাঁধছে না সরকার। সোমবার এক সংবাদসংস্থাকে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি নীতি আয়োগের প্রস্তাব। সরকারি সিদ্ধান্ত নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মে মাসে নীতি আয়োগের এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের পর নিষিদ্ধ হবে পেট্রোল-ডিজেলচালিত তিন চাকার যান। এ ছাড়াও ২০১৫ সালের ৩১ মার্চের পর ১৫০ সিসির নিচে সমস্ত পেট্রোল-চালিত দু’চাকার গাড়ির উত্পাদন নিষিদ্ধ করা হবে। নীতি আয়োগের মতে, এর ফলে বায়ু দূষণ কমবে এবং দেশে ইলেকট্রিকের গাড়ির উত্পাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এরপর, ভারতে গাড়ি উত্পাদনকারী সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম(SIAM)-এর তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি উত্পাদনের ক্ষেত্রে একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ এবং বাস্তবসম্মত সময়সীমা গ্রহণ করার আর্জি জানানো হয়।


নীতি আয়োগের প্রস্তাব ও সরকারি সিদ্ধান্ত যে এক নয়, তা এ দিন স্পষ্ট করে দেন নির্মলা। তিনি বলেন, "দেশের ভালর কথা ভেবে বহু প্রস্তাব পেশ করে নীতি আয়োগ। তার মানে এই নয় যে সেটি সরকারের সিদ্ধান্ত বা পলিসি।" তিনি আরও জানান, নীতি আয়োগ কোনও বিবৃতি দিলে সেই নিয়ে সরকার আলোচনা করে। কিন্তু, সেটাকেই অন্তিম সিদ্ধান্ত বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।


আরও পড়ুন: ভারতই বাঘেদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আবাসস্থল, আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসে বললেন মোদী


সরকারি পরিকল্পনাকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘সময়োপযোগী নয়’বলে দাবি করেন বাজাজ অটোর শীর্ষকর্তা রাজীব বাজাজ। তাঁর মতে, "ভারতে ব্যবসা করা সংস্থাগুলির এত দ্রুত ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি শুরু করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। নেই অভিজ্ঞতাও। তা ছাড়া এই নিয়ম থেকে চার চাকার গাড়ি বাদ দেওয়ায় পরিকল্পনাটি অসম্পূ্র্ণ।" অন্যদিকে ভারতের আরেক বৃহত্ অটো নির্মাতা সংস্থা টিভিএস-এর চেয়ারম্যান বেণু শ্রীনিবাসনের মতে এই ভাবে অযৌক্তিক ডেডলাইন চাপিয়ে দেওয়ার ফলে ভারতে অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি বিপাকে পড়বে। বিপন্ন হতে পারে ৪০ লক্ষ মানুষের জীবিকা। সম্প্রতি, পুরোদমে ই-যান চালাতে গেলে পরিকাঠামোগত ত্রুটির কথা তুলে ধরেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও।


সময়সীমার প্রসঙ্গে নির্মলা সীতারমন বলেন, "সময়সীমা বলে কিছু নেই। তবে, বিষয়ে আলোচনা ও চিন্তাভাবনা চলছে।"