নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট আর নেই। বিচারপতিদের মধ্যে বিবাদ মিটে গিয়েছে। দাবি করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। গত কয়েকদিন ধরে বিচারপতিদের দুই পক্ষকে বোঝানোর একাধিক চেষ্টা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও। অন্যদিকে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোসিয়েশন দু'পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই রফাসূত্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে বৈঠকগুলিতেই কি মিলেছে সমাধান সূত্র? অ্যাটর্নি জেনারেলের দাবির পর অন্তত এমনটাই মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধান বিচারপতির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত শুক্রবার প্রকাশ্যে মুখ খোলেন সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণতম বিচারপতি। রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে এই নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা। যদিও তাঁদের দাবি, প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে গুরুত্ব দেননি।


আরও পড়ুন- ''আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না,'' দাবি প্রয়াত বিচারপতি লোয়ার পরিবারের


শুক্রবার সকালে বিচারপতি জে চেমালেশ্বর, বিচারপতি কুরিুয়ান জোশেফ, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ (দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মদন লকুর ক্ষোভ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠক নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ। দেশের প্রাক্তন ও বর্তমান আইজীবীদের অনেকেই বিচারপতিদের এভাবে প্রকাশ্যের মুখ খোলা নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করেন।


এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার সন্ধেতেই আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। অন্যদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে শুক্রবারই অ্যাটর্নি জেনারলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এরপরই শনিবার সকালে আরও এক দফায় আলোচনার জন্য প্রধান বিচারপতির বাড়ি যান প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি। ওই দিনই দুপুরে বৈঠকে বসেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। পরে তাদের তরফে জানানো হয়, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রবীণ বিচারপতিদের প্রকাশ্যে এভাবে মুখ খোলা উচিত হয়নি।


আরও পড়ুন- বিচারব্যবস্থায় কোনও সংকট নেই, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের ২ ‘বিদ্রোহী’ বিচারপতির


সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর। শুরুতেই আইনজীবী আরপি লুথরা প্রধান বিচারপতির এজলাসে চার বিচারপতির বিক্ষোভের প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ''উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আদালতের সম্মানহানি করার চেষ্টা চলছে। আপনি বিষয়টি উপর দৃষ্টিপাত করুন।'' যদিও প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বলে সূত্রের খবর।


প্রসঙ্গত, চার বিচারপতির অভিযোগের বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল আইনজীবী আরপি লুথরা নামও। তাঁদের অভিযোগ, আইনজীবী লুথরাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  


এদিন সকালে আদালের কাজ শুরু হওয়ার আগে বিচারপতিদের দুই পক্ষই অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করে। এরপরই অ্যাটোর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে গিয়েছে। একই দাবি বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও করা হয়েছে।  


সূত্রের খবর, আদালতের কাজ শুরু হওয়ার পর সোমবার সংশ্লিষ্ট কাজে যোগ দিয়েছেন বিক্ষুব্ধু ৪ বিচারপতিই।