নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার আস্থাভোটে যাবেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা অঙ্ক, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও সরকার গড়ার দিকে এগিয়ে বিজেপিই। গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত কুমারস্বামীর নেতৃত্বে বৈঠক করেন জেডিএস বিধায়করা। আগামী দিনে দলের লক্ষ্য ঠিক করতে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর, জেডিএস-এর একাংশ চাইছেন বিরোধী আসনে বসে কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন তাঁরা। অন্যদিকে একাংশ বিজেপি বাইরে থেকে সমর্থন করে সরকারে থাকার প্রস্তাব দিয়েছে। এর পরই জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার ভাঙতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছেন কুমারস্বামীরা। এমনকি বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে হোটেল বন্দি করার অভিযোগও তোলা হয়। সেই বিজেপিকে বাইরে থেকে সমর্থন করলে, আগামী দিনে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরপ্পা এমন জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তাঁদের একার শক্তিতেই সরকার চালাবে। পুরনো অভিজ্ঞতা তিক্ত বলে কটাক্ষ করেন ইয়েদুরাপ্পা।


আরও পড়ুন- ক্ষমাভিক্ষা করলেও মাফ করবো না আজমকে, বললেন বিজেপি সাংসদ রমা দেবী


উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে জেডিএস ও বিজেপি জোট করে ক্ষমতায় আসে কর্নাটকে। মুখ্যমন্ত্রী হন এইচডি কুমারস্বামী এবং ডেপুটি বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে মতবিরোধ তৈরি হয়। ভেঙে যায় সরকার। উল্লেখ্য, গত বছর কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথমে সরকার তৈরির জন্য বিজেপিকে আহ্বান করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণও করেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে।