মমতার ব্রিগেডে `না`, রাহুলকে পাল্টা ব্রিগেডের প্রস্তাব সোমেনের
আগামী ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ।
জ্যোতির্ময় কর্মকার
রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হচ্ছে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দলের ব্রিগেড সভায় সনিয়া-রাহুলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। ওই ব্রিগেডে যাতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী হাজির না হন, দিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে সেই অনুরোধ করলেন সোমেন মিত্র। এমনকি পৃথক ব্রিগেড করার কথাও বলেছেন নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
ঘরে ঢুকে থাকা নয়, সংগঠন চাঙা করতে পার্টি কর্মীদের রাস্তায় নামাতে চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এমনটাই জানালেন সোমেন মিত্র। দিল্লির ১২ তুঘলক লেনে রাহুলের বাসভবনে সকাল ১২টা নাগাদ পৌছে যায় সোমেন মিত্র ব্রিগেড। ৩টে নাগাদ বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। আলোচনা হয় প্রায় ১৫ মিনিট।
আগামী ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী দলের ঐক্য তুলে ধরতে অন্যান্য বিরোধী নেতানেত্রীদের সঙ্গে সনিয়া গান্ধীকেও আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসেই দিল্লিতে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বৈঠকেও রাহুল-সনিয়ার সঙ্গে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দিল্লিতে জোট হলেও রাজ্যে কারও সঙ্গে সমঝোতা করে ভোটে লড়বে না তাঁর দল। কংগ্রেসেরও 'একলা চলো' নীতি নেওয়া উচিত বলে রাহুলকে বুঝিয়েছেন সোমেন মিত্র। তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। জানিয়ে দিয়েছেন, প্রদেশ নেতাদের মতকেই অগ্রাধিকার দেবেন। একইসঙ্গে সোমেন মিত্র এও জানিয়েছেন, সনিয়া গান্ধী ব্রিগেডের সভায় হাজির হল রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাবে। ভুল বার্তা যেতে পারে।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রস্তাব দিয়েছেন, রাহুল সময় দিলে ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ করতে পারে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে প্রথমবার রাজ্যে চারটি ব্রিগেড সমাবেশ দেখা যাবে। কারণ, ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছাড়া বিজেপি ও বামেরাও ব্রিগেডের ঘোষণা করে দিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে কার্যত সাইনবোর্ড কংগ্রেসের পক্ষে কি ব্রিগেড ভরানো সম্ভব? সোমেন মিত্রের মন্তব্য, ১২ ডিসেম্বর রানি রাসমণি রোডে কংগ্রেসের সভায় স্বতঃস্ফূর্ত ভিড় হয়েছিল। এই সংগঠনেই ব্রিগেড ভরানো যাবে। একইসঙ্গে সোমেনের দাবি, গতবারের চারটি লোকসভা আসন এবারও ধরে রাখতে পারবে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- কোন চ্যানেলের কত দাম? ঠকবেন না, ডাউনলোড করে নিন TRAI-এর প্রাইস চার্ট
তবে প্রদেশ নেতৃত্বের বারণ কি শুনবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড? রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালে ক্ষমতায় ফিরতে মমতার চেয়েও রাহুল গান্ধীর গরজ বেশি। সে কারণে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর দরকার। আর এই প্রেক্ষাপটে মমতার আমন্ত্রণ কি এড়াতে পারবে কংগ্রেস? আবার প্রশ্ন এটাও, ব্রিগেডে সভায় অনুপস্থিত থাকলেও তো দিল্লিতে বৈঠকে দেখা যাচ্ছে সনিয়া-মমতাকে। সেটাও কি প্রভাব ফেলছে না প্রদেশ কংগ্রেসের সংগঠনে?