“অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল বাবার” শত্রুঘ্নের কংগ্রেস যোগদান নিয়ে মুখ খুললেন মেয়ে সোনাক্ষী
সোনাক্ষীর কথায়, জয়প্রকাশ নারায়ণ, অটলবিহারী, আডবাণীর সময়ে দলের হয়ে কাজ করেছেন শত্রুঘ্ন। দলে তাঁর সম্মান ছিল। কিন্তু এখন তাঁকে ব্রাত্য করা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্যত পাকা শত্রুঘ্ন সিনহার কংগ্রেসে যোগ দেওয়া। বৃহস্পতিবার, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করে টুইটে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর এই সিদ্ধান্তে যারপরনাই খুশি মেয়ে তথা বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত তাঁর অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল।”
সোনাক্ষীর কথায়, জয়প্রকাশ নারায়ণ, অটলবিহারী, আডবাণীর সময়ে দলের হয়ে কাজ করেছেন শত্রুঘ্ন। দলে তাঁর সম্মান ছিল। কিন্তু এখন তাঁকে ব্রাত্য করা হচ্ছে। বাবার এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন সোনাক্ষী। বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন শত্রুঘ্ন। তার পরেই টুইটে ঘোষণা, নেহরু পরিবার দেশ তৈরির প্রকৃত সংগঠক। ‘বন্ধু’ লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, রাহুলকে দেশের আশা-ভরসা বলেও তুলনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন- এনডিএ শরিক নেতাদের নিয়ে গান্ধীনগরে আজ অমিত শাহর মনোনয়ন
পটনা সাহিব থেকে দু’বারের সাংসদ শত্রুঘ্নের জায়গায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। এর পরই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি ওই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবেই দাঁড়াবেন শত্রুঘ্ন! কারণ, বিভিন্ন সময়ে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, যদি ভোটে লড়তেই হয়, তা হলে পটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে লড়বেন। তবে, লালু প্রসাদ যাদবের বাড়িতে শত্রুঘ্নের যাওয়ায় জল্পনা অন্য দিকে মোড় নেয়।
আরও পড়ুন- ‘পেছন থেকে বিজেপিকে কখনও ছুরি মারিনি’, সাফাই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের
২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতা আসার পরই সরকারের নানা পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন শত্রুঘ্ন সিনহা। নোটবন্দি, জিএসটি-সহ একাধিক ইস্যুতে দলে থেকেই তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় ‘বিহারীবাবুকে’। পাশাপাশি, বিরোধী শিবিরেও তাঁর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশে মহাজোটে নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্নও। সোনাক্ষী অভিযোগ করেন, দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন শত্রুঘ্ন। তাই মেয়ের বার্তা, আশা করি নতুন দলে যোগ দিয়ে নতুন কাজ করার সুযোগ পাবেন তিনি। আশা করি, আর নিজেকে একা মনে হবে না তাঁর। জানা যাচ্ছে, আগামী ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেবেন শত্রুঘ্ন। হয়ত, সে দিনই নির্ধারণ হবে পটনা সাহিব কেন্দ্রে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত-ও।