নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্জাবে তলানিতে কংগ্রেস, উত্তর প্রদেশে প্রায় নিশ্চিহ্ন, উত্তরাখণ্ড ও গোয়াতেও প্রায় একই অবস্থা সোনিয়া ব্রিগেডের। রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর মঙ্গলবার ৫ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ইস্তফা দিতে বললেন সোনিয়া গান্ধী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলের পর জল্পনা ছিল বিরাট ওই ধসের দায় মাথায় নিয়ে পদ ছাড়তে পারেন সোনিয়া গান্ধী। রবিবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, সোনিয়া ওই বৈঠকে বলেন, তিনি, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা ভোটে হারের দায় নিয়ে সরে দাঁড়াতে চান। তা অবশ্য হয়নি। তবে মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্জাবের দায়িত্ব থাকা নভজ্য়োত সিং সিধু, উত্তরপ্রদেশে অজয় লাল্লু, গোয়ার গীরিশ চোড়নোকর, মণিপুরের এন লোকেন সিং ও উত্তরাখণ্ডের গণেশ গোদিয়ালকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।


এনিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীর সিং সুরজেওয়ালা টুইট করেন, 'উত্তরপ্রদেশে, পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেছেন সোনিয়া গান্ধী। নতুন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি গঠন করা হবে।'


দলাদলি করে পঞ্জাবে দল ভাঙা থেকে শুরু করে ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। এর জন্য় অনেকেই দায়ী করছেন নভজ্যোত সিং সিধুকেই। এমনকি রাজ্যে আপকে কোনও লড়াই দিতেই পারেনি কংগ্রেস। আপ যেখানে ৯২টি আসন পেয়েছে সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ২০টি আসন। উত্তর প্রদেশের মত রাজ্যেও একবারে কোণঠাসা কংগ্রেস। সেই জায়গায় অনেক ভালো লড়াই দিয়েছে সপা। গোয়া ও উত্তরাখণ্ডেও করুণ অবস্থা কংগ্রেসের।



পাঁচ রাজ্য দলের খারাপ ফলের পর চাপ বাড়ছিল সোনিয়া গান্ধীর উপরে। এনিয়ে রবিবার অধীর চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'দলের জন্য সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা এর বিরোধিতা করেছি।' রাহুল গান্ধী অবশ্য দলের কোনও পদে নেই। ২০১৯ এর নির্বাচনের শোচনীয় ফলের পর দলের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। 


আরও পড়ুন-Video:  'এতদিন যা প্র্যাকটিস করেছেন, ভুলে যান', মেজাজ হারালেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)