নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদে মুখোমুখি হওয়ার সত্ সাহস নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শীতকালীন অধিবেশন বসাতে মোদী সরকারের ‘অনীহা’কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর। শীতকালীন অধিবেশন সাধারণত নভেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়ে যায়। চলে চার সপ্তাহ ধরে। সেখানে কবে এই অধিবেশন বসবে এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই মোদী প্রশাসনের, অভিযোগ সনিয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মন্দির হোক অযোধ্যায়, বাবরি বিতর্কে নতুন সমাধানসূত্র শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের


শিয়রে গুজরাট নির্বাচন। মোদীর গড়ে আদৌ পদ্মফুল ফুটবে নাকি হাত-ই ‘ফাঁসির ফান্দা’ হবে পদ্ম শিবিরের কাছে, এ নিয়ে এখন তুমুল জল্পনা বিজেপির অন্দরে। বিজেপির শীর্ষ মন্ত্রী, সাংসদরা এখন নিয়মিত নির্বাচনী টহল দিচ্ছেন গুজরাটে। এ হেন ব্যস্ততায় তাঁদের পক্ষে তাই সংসদ অধিবেশন নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই, বলছে বিভিন্ন সূত্র। আর এখানেই মোদী সরকারকে এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট। শীতকালীন অধিবেশনকে কার্যত ‘পাত্তা’ না দিয়ে গণতন্ত্রের অবমাননা করছেন মোদী বলে জানান সনিয়া গান্ধী।


প্রসঙ্গত নিয়ম অনুযায়ী, একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন বসানোর কথা। সেক্ষেত্রে অগস্টে শেষ হয়েছে বাদল অধিবেশন। ফলে, সে দিক থেকে পরবর্তী অধিবেশন ফেব্রুয়ারির মধ্যে শুরু হলেই আইন বাঁচানো সম্ভব। তাই বিজেপিরও খুব একটা তাড়া নেই বলে জানা যাচ্ছে। আবার আরেকটি সূত্র অনুসারে, বিজেপি হয়ত বর্ষ শেষের অধিবেশনের জন্য রীতি মাফিক একটি সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের আয়োজন করতে পারে। কিন্তু সেবিষয়ে এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আর এই সুযোগটাকেই দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করলেন সোনিয়া, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।


আরও পড়ুন- নাম পাশ, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে রাহুল


সোমবার, কংগ্রেসের কর্ম সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে সনিয়া গান্ধী এই মন্তব্য করেন। এদিন কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে রাহুল গান্ধীর নাম সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। বেনজিরভাবে ১৯ বছর এই পদে আসীন রয়েছেন সনিয়া গান্ধী।