নিজস্ব প্রতিবেদন: পদ ছাড়ছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী! এমনটাই জল্পনা এখন রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। সংবাদমাধ্যমের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সোনিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন এমন সিদ্ধান্ত?


মনে করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে ২৩ কংগ্রেস নেতার চিঠি। ওই চিঠিতে কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন, আসন্ন একাধিক নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। মাঠ ময়দানে নেমে কাজ করতে পারেন এমন ফুলটাইম নেতা বাছতে হবে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় এমন পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। দেশের যুব সমাজ কংগ্রেসের ওপরে আস্থা হারাচ্ছে সংগঠনিক দুর্বলতার কারণে। সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ওপরতলা থেকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।


আরও পড়ুন-হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে প্রকট 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব', ইউনিয়ন সভাপতির পদ খোয়ালেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী


প্রশ্ন হল, তাহলে কি কংগ্রেস নেতাদের লক্ষ্য সোনিয়া গান্ধী! কংগ্রেস নেতাদের ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, তাঁদের চিঠির লক্ষ্যে সোনিয়া বা রাহুল নন। তাঁরা দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু কংগ্রেসের সংগঠনিক খোলনলচে বদলে ফেলা প্রয়োজন।


সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতাদের চিঠির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনিও চান সংগঠন পুনর্বিন্যাস হোক। ঘনিষ্ট মহলে সে কথা নাকি বলেওছেন সোনিয়া! সেখান থেকেই জল্পনার শুরু।


উল্লেখ্য, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মধ্যস্থতায় সচিন পাইলট যেদিন কংগ্রেসে ফেরেন সেদিনই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় সোনিয়ার। তাঁর স্বাস্থ্যও বর্তমানে ভাল যাচ্ছে না। এর মধ্য়েও ওই দিনই কংগ্রেস নেতা অভিষেক মুন সিঙ্ভি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব আপাতত পালন করবেন সোনিয়াই।


এদিকে, কংগ্রেস নেতারা ওই চিঠিতে সাংগঠনিক নির্বাচন করে রাহুল গান্ধীকে দলের সভাপতি করার দাবি কেউ করেননি। এমনটাই কংগ্রেস সূত্রে খবর। সোনিয়া যদি ইস্তফা দিয়ে আর দায়িত্ব না নিতে চান। রাহুলকে যদি অন্যেরা মেনে না নেয় তাহলে সভাপতির পদে কে? এই প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


এদিকে, কংগ্রেস নেতা ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল চিঠি লিখে রাহুল, গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিক নেতাও বলছেন রাহুলকেই ফের সভাপতির পদে আনা হোক। এনিয়ে টুইট, রিটুইট চালাচালি হচ্ছে দিনভর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে রাহুল গান্ধী ওই দায়িত্ব নিতে একেবারেই রাজি নন। তাহলে সভাপতির পদে কে?


আরও পড়ুন-৭৩ দিন পরই কি মিলছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা! কী বলছে সেরাম ইনস্টিটিউট? জেনে নিন


বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসে আলোচনা চলছিল, ৭৩ বছরের অসুস্থ সোনিয়া আর কতদিন চলাতে পারবেন। তিনি নিজেও দল চালানোয় নিজের অপারগতার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুলের ইস্তফার পর দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে বাধ্য হন। দিগ্বিজয় সিং-সহ দের অন্য একটি প্রভাবশালী অংশের বক্তব্য, রাহুলের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। তাহলে কার দায়িত্বে কংগ্রেস? শশী থারুর, এ কে অ্যান্টনির মতো কেউ?


এদিকে, দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের বিরোধিতা করছেন সলমন খুশিদের মতো নেতা। তাঁর ব্যাখ্যা, এখন সাংগঠনিক নির্বাচন হলে তাতে দলের বিভাজন বাড়বে। তার থেকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাউকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হোক। সংগঠনেও বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়া হোক। কিংবা একটি কমিটি গড়়ে সেই কমিটিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হোক।