`Black Fungus মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ করুন`, Modi-কে চিঠি Sonia-র
‘আয়ুষ্মান ভারত’(Ayushman Bharat) প্রকল্পেই এই রোগের চিকিত্সার দাবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কে যখন থরহরিকম্প অবস্থা গোটা দেশের, তখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) বা মিউকোরমাইকোসিস। এই রোগকে ইতিমধ্যেই মহামারি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। স্রেফ একই পথে হাঁটার নির্দেশই নয়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সম্পর্কে যাবকীয় তথ্য পাঠানোর জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কিন্তু চিকিত্সা হবে কীভাবে? ওষুধই মিলবে কোথায়? প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)। দাবি করলেন ‘আয়ুষ্মান ভারত’(Ayushman Bharat) প্রকল্পেই এই রোগের চিকিত্সারও।
করোনায় রক্ষা নেই, দেশজুড়ে আবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) বা মিউকোরমাইকোসিস। গতকালই উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। করোনা আবহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়েও সতর্ক থাকার বার্তা দেন তিনি। বলেন, 'এটি বিরল, কিন্তু শোচনীয় অবস্থা হচ্ছে করোনা রোগীদের। করোনার মাঝেই এটি (Black Fungus) ভারতবাসীর কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ'। কিন্তু ঘটনা হল, এই রোগের চিকিত্সা নিয়ে বিস্তর গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের দাবি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিত্সা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে না কেন্দ্র। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
চিঠিতে সোনিয়া লিখেছেন, 'ভারত সরকার সদ্যই মিউকরমাইকোসিসকে মহামারী ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে। যার অর্থ, এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের যথেষ্ট উৎপাদন এবং সরবরাহের ব্যবস্থাপনা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। আশা করব যাদের প্রয়োজন তাঁরা নিখরচায় এই রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন। আমি যতদূর জানি, লিপোসর্নাল অ্যাম্ফোটেরিসিন ই-১ (Liposornal Amphotericin-E1) এই রোগের চিকিৎসার অতি প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ। অথচ, বাজারে এই ওষুধটির চরম সংকট তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মারণ রোগটির চিকিৎসা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে করা হয় না। উপরন্তু অধিকাংশ বিমা সংস্থার স্বাস্থ্য বিমাতেও এই রোগটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয় না। আপনার কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করুন।”
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা। করোনা আক্রান্ত হয়ে খাস কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সঙ্গে শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ ছত্রাকও। এই রোগ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছেন সরকার।