ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তিস্তা চুক্তি করা যাবে না। লোকসভায় রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সাংসদ সৌগত রায়।  বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সম্ভবত মে মাসে নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরেই সই হবে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি। তিস্তা। উত্তরবঙ্গের লাইনলাইন। আপাতত ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভরকেন্দ্রও এই তিস্তা। উপমহাদেশে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বাংলাদেশকে পাশে চায় ভারত।  দিল্লি দরবারে ঢাকার সবচেয়ে বড় দাবি, তিস্তার জল। জলবণ্টন নিয়ে চাপানউতোরের ইতিহাস অনেক পুরনো। তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রেক্ষাপট তৈরি ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ সফর থেকে সরে দাঁড়ান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, তিস্তা শুকিয়ে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গে মারাত্মক জলের সমস্যা। এ কথা জেনেও কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার জল দিতে চাইছে। কেন্দ্রের প্রস্তাব মত তিস্তার ৫২% জল নয়, ৭৫% জল পশ্চিমবঙ্গের জন্য দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন রান্নার গ্যাসে হাজারো সমস্যা? কমপ্লেন করুন ফেসবুক পেজ বা টুইটার হ্যান্ডলে


চার বছর পর ফের ঢাকা সফর। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরসঙ্গী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একান্ত আলোচনায় মমতা পদ্মার ইলিশের কথা বলতেই পাল্টা শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন, তিস্তার পানি কই?সরাসরি তিস্তা চুক্তি নিয়ে মুখ না খুললেও, সুর নরম করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আগামিমাসের গোড়াতেই ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মে-তে বাংলাদেশ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনই তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সাক্ষর হওয়ার কথা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বার্তা দিয়েছেন, রাজ্যের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে কখনোই তিস্তা চুক্তি নয়। সোমবার লোকসভায় দলনেত্রীর সেই মনোভাবই তুলে ধরেন সাংসদ সৌগত রায়।২০১১ সালের পুনরাবৃত্তি চায় না কেন্দ্র। সতর্ক বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত হবে। কিন্তু কোন শর্তে? কোন ফর্মূলায় মমতা-হাসিনা, দুই নেত্রীকে রাজি করাবেন মোদী? তিস্তার জল কোন পথে বাঁক নেয়, তারই অপেক্ষায় কূটনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন  ছররা ছাড়ুন, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের