নিজস্ব প্রতিবেদন: কোমা থেকে জেগে উঠে পুলিসের কাছে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিল দক্ষিণ দিল্লির এক গৃহবধূ। শুনতে অবাক লাগলেও ওই মহিলা যে বেঁচে যাবেন তা ভাবতেই পারেননি পরিবারের লোকজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বুথ মিটিং সেরে ফেরার পথে হামলা, কাঁকসায় গুলিতে খুন বিজেপি কর্মী


কী হয়েছিল আসলে? গত ১৭ নভেম্বর আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা ঘটে দক্ষিণ দিল্লির হাউজ রানী এলাকায়। মহসিনা নামে ওই মহিলা ও তাঁর ৩ বছরের মেয়ে এবং ১৮ মাস বয়সের ছেলে গলার নলিকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বছর তিনেকের ওই শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে। বেঁচে গিয়েছে ১৮ মাসের ছেলেটি। অন্যদিকে কোমায় চলে যান মহসিনা।


পুলিস ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দফায় দফায় জেরা করেছে। তবে মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে মহিলার গলা যে কাটা হয়েছে তা করেছেন ওই মহিলা নিজেই।


আরও পড়ুন-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের থেকেও ‘বিপজ্জনক’: জিতেন্দ্র সিং


ঘটনার এতদিন পর কোমা থেকে জেগে উঠেছেন মহসিনা। পুলিসকে তিনি বলেছেন, ''১৬ নভেম্বর রাতে ঘরে আসে তার স্বামী মহম্মদ সামিম। তার পরেই তাকে গালাগালি ও মারধর শুরু করে। ভোররাত পর্যন্ত দফায় দফায় তাকে মারধর করে। সকালে ঘুমানোর চেষ্টা করলে সামিম ও তারা ভাই ঘরে ঢুকে তার মেয়ের গলা কাটার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়া চেষ্টা করলে ওরা আমার আঙুল কেটে দেয়। তারপর ওরা আমার গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। কোনওক্রমে দৌড়ে বাইরে পালিয়ে যাই। তারপরই অজ্ঞান হয়ে যাই।


এদিকে দিল্লি পুলিসের আধিকারিক বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ওই মহিলার মেয়ের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর সামিমকে ফের জেরা করা হবে।''