নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে ফের একবার বিরোধীদের তুলোধনা করলেন অমিত শাহ। তাঁর নিশানায় এবার সপা, বসপা ও কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার উত্তরপ্রদেশে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বক্তব্য রাখতে গিয়ে অসমের নাগরিকপঞ্জীর কথা টেনে আনেন। তিনি বলেন, অসম থেকে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বের করার জন্যই নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, ওইসব বাংলাদেশিরা এদেশে থাকবে নাকি তাদের ফেরত পাঠানো হবে তা স্পষ্ট করুক সপা-বসপা-কংগ্রেস।


গত সোমবার অসমে প্রকাশিত হয়েছে নাগরিকপঞ্জীর দ্বিতীয় তালিকা। সেই তালিকায় নাম নেই ৪০ লাখ মানুষের। ফলে এনিয়ে দেশজুড়েই তোলপাড় শুরু হয়েছে। সরকারের নাগরিকপঞ্জীর বিরোধিতা করে আসরে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সপা, বসপা। তাদের অভি‌যোগ, বহুদিন ধরে অসমে বসবাস করছেন এমন লোকজনেরও নাম বাদ পড়েছে। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামও বাদ পড়েছে।



নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেছে বেছে নাম পদবী দেখে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থে ৪০ লাখ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভোটে জেতার জন্য সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে। একাত্তরের মার্চ প‌র্যন্ত ‌যারা এসেছেন তারা এদেশের নাগরিক। কিন্তু খ্রিষ্টান, মুসলিম, দলিত হলেই তাদের আলাদা করা হচ্ছে। এভাবে বিজেপি দেশকে গৃহ‌যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।


আরও পড়ুন-বিরোধী জোট ছেড়ে মোদীর শরণে গেলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও


কেন্দ্র সরকার নিজে থেকে নাগরিকপঞ্জী তৈরি করেনি বরং তা করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো। একথা স্পষ্ট করে দিন বিজেপি সভাপতি। অমিত শাহ এদিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা হচ্ছে। অসম থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সরাতেই ওই তালিকা তৈরি হচ্ছে।


উল্লেখ্য, অসমের নাগরিকপঞ্জীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। তাদের আরও দাবি ওই ধরনের তালিকা তৈরির চেষ্টা করেছিল কংগ্রেস।


আরও পড়ুন-ICC টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে বিরাট কোহলি 


এদিকে, নাগরিকপঞ্জী থেকে নাম বাদ পড়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অসমে। অনেকেই এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন নাগরিকপঞ্জীতে তাদের নাম রয়েছে কিনা। ‌যাদের নাম নেই তারা আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। তবে নাম নথিভূক্ত করার সময়সীমা বাড়িয়েছে সরকার।


অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছে, ‌যাদের নাম নাগরিকপঞ্জীতে নেই তাদের ওপরে চাপ দেওয়া ‌যাবে না। কারণ এটি একটি খসড়া তালিকা। এর ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া ‌যায় না।