নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবারও আস্থাভোট করানো গেল না কর্ণাটক বিধানসভায়। ফলে মধ্যরাত পর্যন্ত বিজেপির অপেক্ষাই সার হল। অগত্যা আস্থাভোটের চুড়ান্ত সময়সীমা বাড়িয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা করে দিলেন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সপ্তাহ দুয়েক আগে কংগ্রেসের ১৩ জন ও জেডিএস-এর ৩ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার ফলে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় কর্ণাটকে। এর পর থেকেই নানা টালবাহানার মধ্যে দিয়ে চলছে কর্ণাটকে ক্ষমতা বদলের পর্ব। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই কর্ণাটকের স্পিকারের বিরুদ্ধে আস্থাভোটে দেরি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে শাসক কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে আসন রফা করার ক্ষেত্রে বাড়তি সময় দিতে ইচ্ছা করেই এমনটা করছেন কে আর রমেশ কুমার। কিন্তু সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই স্পিকার জানিয়ে দেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই আস্থাভোট করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিতি তাঁর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন।


আরও পড়ুন: আজই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন কুমারস্বামী, আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা! জোর জল্পনা


কিন্তু অধিবেশনে সরকার পক্ষের বিধায়কদের ভাষণ অত্যন্ত দীর্ঘায়ীত হওয়ায় আস্থাভোটের নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যায়। সরকার পক্ষের বিধায়করা ইচ্ছাকৃত দেরি করে আস্থাভোটে বাধা দিচ্ছেন, এই অভিযোগে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়কদের নাগাড়ে স্লোগান, ব্যাপক হইচইয়ের ফলে বিধানসভার কাজকর্ম বেশ কিছু ক্ষণের জন্য স্থগিত রাখা হয়। এ দিকে এর মধ্যেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ও কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান। এর পর বিজেপির বিধায়ক বি এস ইয়েদুরাপ্পা স্পিকারকে বলেন, আস্থাভোটের জন্য তাঁরা মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে প্রস্তুত। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও আস্থাভোট করা যায়নি। ফলে শেষমেশ সোমবারের মতো বিধানসভা অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে করতেই হবে আস্থাভোট।