Bihar Assembly Speaker Resign: চূড়ান্ত নাটক বিহারে, আস্থা ভোটের ঠিক আগে ইস্তফা স্পিকারের!
বিহার বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজয় কুমার সিনহা। বিহার বিধানসভায় বিজয় কুমার সিনহা বলেছেন, `সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামনে মাথা নত করে, আমি স্পিকার পদ থেকে পদত্যাগ করছি`।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বুধবার বিহার বিধানসভায় শুরু হয়েছে সমস্যা। বিজেপি, এখন ক্ষমতা থেকে সরে গিয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে পরেছে বিহারে। শক্তিশালী সাত-দলীয় ক্ষমতাসীন 'মহাগঠবন্ধন'-এর বিরুদ্ধে নিজেদেরকে ধরে রাখার চেষ্টা করবে তারা। স্পিকার বিজয় কুমার সিনহার বিরুদ্ধে নতুন ক্ষমতাসীন জোট অনাস্থা প্রস্তাব আনা সত্ত্বেও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। ফলে বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেও দেখা যায় ঝড়ের পূর্বাভাস। জানা গিয়েছে বিহার বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজয় কুমার সিনহা। বিহার বিধানসভায় বিজয় কুমার সিনহা বলেছেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামনে মাথা নত করে, আমি স্পিকার পদ থেকে পদত্যাগ করছি'। হাউসে যখন তিনি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তখন বিজয় কুমার সিনহা বলেন, 'চেয়ার হল ‘পঞ্চ পরমেশ্বর’। চেয়ারে প্রতি সন্দেহ পোষণ করে আপনি কী বার্তা দিতে চান? জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে'। বিহার বিধানসভার স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা বলেছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি গ্রহণযোগ্য নয় এবং তিনি প্রতিশোধ না নিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে নীতিশ কুমার সরকারকে। আধিবেশনের কাজ শুরু হওয়ার পরেই স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা বক্তৃতা দেন এবং এরপরেই নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে বিধানসভার কাজ। আরজেডি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদবও কাজ চলাকালীন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতায় সিনহা বলেন, ‘আমরা সংসদ সদস্যদের অনুভূতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতাম কিন্তু আমাদের সেরকম সুযোগ দেওয়া হয়নি। ৯ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হয় এবং ১০ আগস্ট নতুন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার গঠনের পর আমি নিজেই পদত্যাগ করতাম, কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আসে’।
তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে জবাব দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে অনাস্থা প্রস্তাব এসেছে তা স্পষ্ট নয়। নয়জন সদস্যের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সঠিক মনে হয়নি। সিনহা আরও বলেন, একজন সদস্য ললিত যাদবের আনা প্রস্তাবটি সঠিক বলে মনে হয়েছে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর আমার ওপর প্রশ্ন তুলেছেন। সিনহা আরও বলেন, এই আসনে যারাই বসবেন, তাদের জন্য তার শুভ কামনা থাকবে। আমরা অনুরোধ করব বিধানসভার সম্মান বাড়াতে হবে। এই বক্তব্য রাখার পরে বিজয় কুমার সিনহা বিধানসভা থেকে বেরেইয়ে যান। তবে স্পিকারের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফ্লোর টেস্টের আগেই আরজেডি নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি, বিহার-ঝাড়খণ্ডে শুরু সিবিআই অভিযান
বিহারের তিন আরজেডি নেতার বাড়িতে অভিযান চালানোর পর ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদবের মলেও অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। গুরুগ্রামে তৈরি হচ্ছে তেজস্বী যাদবের আরবান কিউবস মল। গুরুগ্রাম ছাড়াও পাটনা, মধুবনি এবং কাটিহারের ২৫টি জায়গায় সিবিআই অভিযান চলছে।
সিবিআই একই সঙ্গে আরজেডি এমএলসি এবং লালু পরিবারের বিশেষ সদস্য হিসাবে বিবেচিত সুনীল সিং সহ বহু আরজেডি নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। সুনীল সিং, সাংসদ আশফাক করিম, ফায়াজ আহমেদ সহ অনেক নেতার বাড়িতে একযোগে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই দল। চাকরির বদলে জমির মামলায় এসব অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও অনেক RJD নেতা সিবিআই-এর রেডারে রয়েছেন।