নিজস্ব প্রতিনিধি : দুর্ঘটনার পর একের পর এক ভিডিও শেয়ার হচ্ছে সোশ্যাল সাইটে। প্রতক্ষদর্শীদের বয়ানও মিলছে বিভিন্নরকম। কেউ বলছেন, সেলফির নেশাতেই এতগুলো প্রাণ গেল বেঘোরে। কারও দাবি, ট্রেন সঠিক সময় হর্ন বাজালে এত বড় বিপত্তি হয়তো হত না। আবার অনেকেরই দাবি, ড্রাইভার চাইলে ট্রেনের গতি কমাতেই পারতেন। অমৃতসরের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার পর উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেলের তরফে অবশ্য আগেই জানানো হয়েছে, এই দুর্ঘটনাক দায় তাদের নয়। চলছে দোষারোপের পালা। এমন অস্থির অবস্থায় আবার সেই ঘাতক ট্রেনের ড্রাইভার লিখিত বয়ান জমা দিলেন। তাঁর বয়ানের সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দির প্রায় কোনও মিলই নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনা : প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দিতে উঠে আসছে হাড় হিম করা তথ্য


৩২ বছর বয়সী ড্রাইভার অরবিন্দ কুমার সেই ডিএমইউ (ডিজেল মাল্টিপলস ইউনিট) ইঞ্জিন চালাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ৪০ বছর বয়সী সিনিয়র গুডস গার্ড মিতিলেশ কুমার। এদিন অরবিন্দ কুমার তাঁর লিখিত বয়ানে যা লিখলেন তা এরকম- হঠাত্ করেই প্রচুর মানুষকে লাইনের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলাম। আমি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সজোরে হর্ন বাজিয়েছি। কিন্তু চারপাশে প্রচণ্ড বাজির শব্দ হচ্ছিল। সঙ্গে মাইকের আওয়াজ। এর পরই আমি এমারজেন্সি ব্রেক কষি। ততক্ষণে অবশ্য ট্রেনের নিচে কিছু মানুষ এসে পড়েছিলেন। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ট্রেন প্রায় থেমেই গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় আশেপাশের থেকে বড় বড় পাথর এসে পড়তে থাকে ট্রেনের উপর। আমি তখন আমার ট্রেনে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেন চালিয়ে দিই। 


আরও পড়ুন- অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনার দায় নিল না কেউ, রাবণ দহনের আয়োজক কংগ্রেস কাউন্সিলর বেপাত্তা


ট্রেনে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। নতুন করে এমন দাবি তুলে গেলেন ড্রাইভার অরবিন্দ কুমার। প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেন এক মুহূর্তের জন্য থামেনি। বরং স্বাভাবিক গতিতেই মানুষের উপর দিয়ে চলে যায়। দুর্ঘটনার যে কয়েকটা ভিডিও ছড়িয়েছে তাতেও কোথাও ট্রেন থামার ছবি ধরা পড়েনি। কিন্তু এমন সময় ড্রাইভারের দাবি নতুন করে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন ড্রাইভার। রেলের তরফেও তাঁকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এমন দুর্ঘটনায় ড্রাইভারের কোনও দোষ নেই।