নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামার বদলা নিতে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই অভিযানে ব্যবহার করা হয় মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। ওই যুদ্ধবিমান থেকে স্পাইস-২০০০ বোমা ফেলেই ওই অভিযানে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ওই অভিযানে ব্যবহৃত স্পাইস-২০০০ বোমাকে এবার সুখোই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় ভারত। অন্তত সরকারি সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। ওই সূত্রের দাবি, বালাকোটের হামলায় স্পাইস বোমার সাফাল্য দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি অনেকটাই বাড়বে।


প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ভারতের দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা বেড়েছে। ওই অভিযানের পরদিনই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ২০টিরও বেশি পাক যুদ্ধবিমান।


আরও পড়ুন: দিল্লিতেও মহাজোট ব্যর্থ! আপ-র সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না কংগ্রেস


ভারতীয় বায়ুসেনা কড়া জবাব দেয়। বায়ুসেনার তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানের ওই যুদ্ধবিমানগুলি। সেই তালিকায় ছিল তিনটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও। যার মধ্যে একটিকে আকাশেই ভেঙে দেয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মিগ-২১।


এর পর পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়েন অভিনন্দন। তিনদিন পর তাঁকে ছেড়ে দেয় পাকিস্তান। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, শান্তির বার্তা দিতে অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হল।


আরও পড়ুন: বিজেপির ওয়েবসাইটে সাইবার হানা! জানাল কংগ্রেসও


যদিও ভারতের কূটনৈতিক চাপ ও জেনেভা কনভেনশনের জেরেই অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয় পাকিস্তান। তারা শান্তি চায় না, তা স্পষ্ট হয় নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির জেরে।


কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাক গোলাবর্ষণ প্রতিদিনই চলছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা ও ভারত সীমান্তে পাকিস্তান সমরসজ্জা বাড়াচ্ছে। নয়াদিল্লির ওই সূত্রের দাবি, এর পরই পাকিস্তানকে চাপে রাখতে সুখোই SU-30 MKI যুদ্ধবিমানে স্পাইস বোমা যুক্ত করা হবে।


আরও পড়ুন: পুলওয়ামার জঙ্গিহামলাকে 'দুর্ঘটনা' বলে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং


সরকারি একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এখন শুধুমাত্র মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানই ওই স্পাইস বোমা নিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম। তাই সুখোই যুদ্ধবিমান একই কাজ করতে পারলে, তাতে শক্তি বাড়বে বায়ুসেনার। কারণ, উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবির উপর ভরসা করে আরও ভালোভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানা সক্ষম হবে।