নিজস্ব প্রতিবেদন: সবটাই ছিল সময়ের অপেক্ষা। করুণানিধির মৃত্যুর পরই তা প্রকাশ্যে চলে এল। ডিএমকের প্রধান হওয়ার আগে ভাই স্ট্যালিনকে একপ্রকার প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করলেন করুণাপুত্র আলাগিরি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার দলের কা‌র্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে। করুণনিধি চলে ‌যাওয়ার পর দলের প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। তার আগেই গোলমালের ইঙ্গিত দিয়ে আস্তি গোটাতে শুরু করলেন আলাগিরি। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে আলাগিরি বলেন, ‘ডিএমকের আসল সমর্থকরা আমার সঙ্গে রয়েছেন। সময়ই তা প্রমাণ করবে। দলে ‌যা হচ্ছে তার জন্য খারাপ লাগছে।’


আরও পড়ুন-সোমনাথের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর  


উল্লেখ্য, আগামিকাল ‌দলের ‌যে বৈঠক বসছে সেখানে দলের প্রাক্তন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার কথা। দলের এক বরিষ্ঠ নেতার অবশ্য দাবি, ওই বৈঠকে করুণানিধির মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি ঠিক হবে কবে দলের সাধারণ সভার বৈঠক বসবে। ওই বৈঠকে ঠিক হবে দলের কা‌র্যকরী সভাপতি সভাপতি স্ট্যালিনকে কবে দলের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। দলের স্থপতি ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আন্নাদুরাইয়ের মৃত্যুর পরও একইভাবে দলের বৈঠক বসেছিল। শোকপ্রকাশ করা হয়েছিল।



আরও পড়ুন-নিরপেক্ষতায় ছিলেন অবিচল, সোমনাথের প্রয়াণে ভারতীয় সংসদীয় রাজনীতির নক্ষত্রপতন


করুণানিধির দুই পুত্রে মধ্যে বিবাদ বেশ পুরনো বিষয়। বরাবরই বিদ্রোহী আলাগিরিকে দল থেকে বহিষ্কার করেন করুণানিধি। দলবিরোধী কাজ ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য তাঁকে দলের বাইরের দরজা দেখিয়ে দেন ডিএমকে প্রধান। শুধু তাই নয়, স্ট্যালিনকে সেসময় দলের কা‌র্যকরী সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়। বস্তুতপক্ষে তখনই ঠিক হয়ে ‌যায় দলের পরবর্তি কর্ণধার হচ্ছেন স্ট্যালিনই। এতদিন বাবা বেঁচে থাকায় চুপচাপই ছিলেন আলাগির। এবার বাবা চোখ বুজতেই ভাইয়ের বিরুদ্ধে তোড়েফুঁড়ে আসরে নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন করুণাপুত্র।