নিজস্ব প্রতিবেদন: আলোচনাসভায় যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কবি শ্রীজাত। ঘটনাস্থল অসমের শিলচর। যা দেখে শ্রীজাতর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, “এর থেকে বড় লজ্জা আর নেই।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: অসমের শিলচরে বিক্ষোভের মুখে কবি শ্রীজাত, দেখুন এক্সক্লুসিভ ছবি


শনিবার ঘটনাটি ঘটে। অসমের শিলচরের একটি হোটেলে তখন ছিলেন শ্রীজাত। অভিযোগ, হোটেলের বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। আলোচনাসভার আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়।


কিন্তু বিক্ষোভ থামেনি। আয়োজক ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বচসা বাঁধে। তা অচিরেই চরমে ওঠে। তখনই বিক্ষোভকারীরা হোটেলে ভাঙচুর করতে শুরু করেন। শ্রীজাতর দাবি, তিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টা হোটেলে বন্দি ছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় সার্কিট হাউজে।


আরও পড়ুন: মোদীকে সরাতে পাকিস্তানের সাহায্য নিচ্ছে কংগ্রেস! গুরুতর অভিযোগ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর


ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে শ্রীজাতর ফোনে কথা হয়। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার শিল্পী-বুদ্ধিজীবী মহল। তাঁদের অনেকেও শ্রীজাতর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানা গিয়েছে। অনেকে ফেসবুকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান।


এদিকে এই ঘটনা নিয়ে কবি শ্রীজাতর বক্তব্য, “এভাবে যদি এদেশে বাঁচতে হয়। তাহলে এর থেকে বড় লজ্জা আর নেই।” রবিবার সকালেই কলকাতায় ফেরেন শ্রীজাত। কলকাতায় ফিরে তিনি জানান, গত দু’বছর ধরে দেশে বাক স্বাধীনতা কমছে। শিলচরে আগেও গিয়েছেন তিনি। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তিনি এখনই টের পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীজাত।


আরও পড়ুন: সাধারণদের ১০% সংরক্ষণ বিলে মঞ্জুরি রাষ্ট্রপতির, ১ সপ্তাহেই মিলবে লাভ 


শ্রীজাতর একটি কবিতা ঘিরে বছর দেড়েক আগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছিল। এদিনের বিক্ষোভও ওই কবিতা ঘিরে বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভে নেতৃত্বে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ছিল বলেও সূ্ত্রের খবর।