নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস পালন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। সেই অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দাবি, এটা বাধ্যতামূলক নয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সবটাই দেশপ্রেম। পশ্চিমবঙ্গ এই নির্দেশ মানবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফলে ফের একবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সূত্রপাত।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফের সার্জিকাল স্ট্রাইক। এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। চমকে উঠলেন? বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তেমনই ইচ্ছা। বলা ভাল, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মর্জি। আর সেই মর্জি পালন করতে হবে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে।


২৯ সেপ্টেম্বর। ইউজিসি-র  অধীনস্থ সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পালন করতে হবে সার্জিক্যাল স্টাইক দিবস। সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ীই নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি।


কীভাবে পালিত হবে?  প্রাক্তন ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী নিয়ে এসে বিশেষ আলোচনা করতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীর জয়ের আখ্যান তুলে ধরতে হবে ছাত্রছাত্রীদের সামনে। এনসিসি ক্যাডেটসদের বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করতে হবে। প্রদর্শনী থেকে কার্ড কোনওকিছুই বাদ নেই নির্দেশিকায়। স্পষ্ট বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে বহুমাধ্যম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। তার দেখাদেখি রাজ্য, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ও ক্যান্টনমেন্টেও বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করতে হবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে এই প্রদর্শনীতে অংশ নেয়, সেজন্য তাঁদের উত্সাহিত করতে হবে। 


প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার পর এহেন নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তোলপাড়। সমালোচনার ঝড়। বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণ। বিজেপির সাফাই, এর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। সবটাই দেশপ্রেমের স্বার্থে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সার্জিকাল স্ট্রাইক ডে পালনের জন্য কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সবটাই পরামর্শ। ইউজিসির এই নির্দেশ মানছে না পশ্চিমবঙ্গ, পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। তার বদলা নিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। সফলভাবে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে চুরমার করে দেন জওয়ানরা। খতম করা হয় বহু জঙ্গিকে। এক রাতের অভিযানেই জঙ্গিদের সবক শেখায় ভারত। তার পর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটি পালন করছে মোদী সরকার। বিরোধীদের মতে, আসলে দেশপ্রেমের নামে পেট্রোল-ডিজেল, রাফাল দুর্নীতির মতো বিষয়গুলি থেকে মুখ ঘোরাতে এসব করছে বিজেপি।        


আরও পড়ুন- ইমরানের মুখোশ খুলে গিয়েছে, পাকিস্তান শোধরাবে না, কড়া বার্তা মোদী সরকারের