নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরাস পৌঁছনোর আগেই প্রিয়াঙ্কা রাহুলের পথ আটকালো উত্তরপ্রদেশ পুলিস। গ্রেটার নয়ডায় ঢুকতেই কনভয় আটকায় পুলিস। ধ্বস্তাধস্তির সময় রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা যায়। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত মেয়ের গণধর্ষণ কাণ্ড গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর হেঁটেই রওনা হন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন 'উন্নাওয়ের ঘটনার পরও এতটুকু বদল হয়নি উত্তরপ্রদেশের।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাথরসের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়। এদিকে আজই হাথরসে যাচ্ছেন রাহুল ও  প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে তার আগেই হাথরসে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সিল করে দেওয়া হয়েছে সীমানা। কংগ্রেস নেতাদের হাথরসে যাওয়া আটকাতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, কংগ্রেস নেতাদের আটকাতে করোনা সংক্রমণের যুক্তিও আনা হচ্ছে। তিন গ্রামবাসী করোনা আক্রান্ত এই তথ্য সামনে এনে হাথরসের নির্দিষ্ট অঞ্চল কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হতে পারে।


আরও পড়ুন : চাঞ্চল্যকর! হাথরসের নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্টে নেই ধর্ষণের উল্লেখ


এমন অবস্থায় বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না।  অন্যদিকে, গণধর্ষণ হয়নি দাবি হাথরসের পুলিস সুপার বিক্রান্ত বীরের। তিনি বলেন, "আলিগড় হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট তাই বলছে"। 


উল্লেখ্য, ১৪ দিন লড়াই করেও জীবনযুদ্ধে হেরে যান হাথরসের নির্যাতিতা। আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দিল্লি সফদর জং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। পুলিসের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয় ওই তরুণীকে। ধ্বস্তাধস্তির সময় তাঁর জিভের একাধিক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। দুটি পা ও একটি হাতে কোনও সাড় ছিল না বলেও জানান চিকিত্সকরা।