Success Story of DSP Gwalior: দারিদ্র নিত্যসঙ্গী; কখনও নতুন বই জোটেনি, চমকে দেবে ডিএসপি সন্তোষের লড়াই
Success Story of DSP Gwalior: পিএসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট। আর ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর ডিএসপি হয়ে যান সন্তোষ। টানা ১৫ মাসের প্রস্তুতির সময়ে কখনও কোনও কোচিংয়ের দরজায় যাননি। ছোটবেলার অভ্যেসে ভর করে নিজেই ঘরে বসে পড়াশোনা করেছেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পড়ানোর মতো আর্থিক সক্ষমতাই ছিল না বাবা-মার। মাঠের কাজ আর পশুপালন করে কোনওক্রমে চলত দিন। সেই জায়গা থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে মধ্যপ্রদেশের পিএসি পাস করেছেন সন্তোষ প্যাটেল। আজ তাঁর কাছে লালবাতি লাগানো গাড়ি। গোয়ালিয়রের ডিএসপি তিনি। কিন্তু কেন ছিল তাঁর জীবনের লড়াই?
আরও পড়ুন-বাঙালি পর্যটকদের জন্য সুখবর; পুরীতে সৈকত আবাস তৈরি করবে রাজ্য, জমি দেখতে যাচ্ছেন মমতা
সন্তোষ প্যাটেল জানিয়েছেন, দারিদ্রের কারণে গ্রামের স্কুলেই পড়াশোনা করতে হয়েছিল। জঙ্গলঘেঁসা বাড়ি। ফলে আয়ের যা কিছু রাস্তা তা জঙ্গল থেকেই। কেন্দুপাতা সংগ্রহ থেকে বর্ষায় গাছ লাগানো থেকেই আমার বাবার আয় ছিল। বছরের অন্যান্য সময়ে দিনমজুরি থেকে যে আয় হতো তা আমার বাবা-মা আমার পড়াশোনার পেছনেই খরচ করত। একটা ক্লাস শেষ হলে নতুন ক্লাসের জন্য নতুন বইতো পেতাম না। বাজার থেকে বাবা সেকেন্ড হ্যান্ড বই নিয়ে আসত। মন না চাইলেও সেই বই দিয়েই পড়াশোনা শুরু করে দিতাম। দেখতে দেখতে বারো ক্লাস পার করলাম। গ্রাজুয়েশন করার পর পিএসসির প্রস্তুতির সময়ে নিজেই পড়াশোনা করেছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আমার অভ্যেস ছিল আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার। কোনও কোচিংয়ে না গিয়ে নিজে পড়েই পিএসি পাস করেছি। জীবনে দারিদ্র দেখেছি। তখনই ভেবেছিলাম আমাদের সন্তানরা যেন গরিব ঘরে জন্ম না নেয়। গ্রাজুয়েশন করার পর কোনও চাকরি পাইনি। তখন বাবা বললে আর তোমাকে পড়াতে পারব না। এবার জমিতে কাজ করো বা মাঠে মোষ চরাও। সেইসময় বাবাকে বলেছিলাম আমাকে একটা সুয়োগ দাও। তখনই সংকল্প করে ফেলেছিলাম যতদিন লাল বাতি ওয়ালা গাড়ির চাকরি না পাই ততদিন দাড়ি কাটব না। সেটাই হয়েছিল। দাড়ি দেখে কিছু লোক মজা করত। শেষপর্যন্ত ১৫ মাসের পরিশ্রমে আমি ডিএসপি হয়েছি। এক্ষেত্রে আমার মা-বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি।
পিএসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট। আর ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর ডিএসপি হয়ে যান সন্তোষ। টানা ১৫ মাসের প্রস্তুতির সময়ে কখনও কোনও কোচিংয়ের দরজায় যাননি। ছোটবেলার অভ্যেসে ভর করে নিজেই ঘরে বসে পড়াশোনা করেছেন। পিএসসির মেইন পরীক্ষা খুবই শক্ত। তাই এর জন্য অনেক আগে থেকে নিতে হয়। নিজেই নোট করতে হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত পেরেছেন সন্তোষ।